ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনও গাদাগাদি করেই ঢাকায় ফিরছে মানুষ। নৌ ও সড়কপথে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই হাজারো মানুষকে রাজধানীতে ফিরতে দেখা যাচ্ছে। দুরপাল্লার পরিবহণ বন্ধ থাকলেও নানা যানবাহনে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় ফিরছে তারা। ফলে চাইলেও সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানতে পানতে পারছেন না অনেকে।
বুধবার (১৯ মে) ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিকে ঢাকামুখী মানুষের চাপ সামলাতে লকডাউন উপেক্ষা করে বিআইডবিটিসির পক্ষ থেকে নৌ-রুটের ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীদের দাবি, চাকরি হারানোর ভয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে তীব্র গরমে নদী পাড় হতে হচ্ছে তাদের। ফেরির পাশাপাশি লঞ্চ চলাচল করলে ভোগান্তি কমতো বলে জানান তারা।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে মাইকিং করে ফেরিগুলোতে সুশৃঙ্খলভাবে উঠতে যাত্রীদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌছাতে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে ও ঘাট এলাকায় ২ শতাধিক পুলিশ, র্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস, আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ঘাট পর্যন্ত এসে নদী পার হয়েও যাত্রীরা কয়েকগুণ ভাড়া গুনে মোটরসাইকেল, ৩ চাক্কার ইজিবাইক থ্রি-হুইলার, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে চরম ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, আজো উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে। যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ১৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।