মা মলিনা রানী (৩৬)ও ছেলে আব্দুল মমিন(১২)। মা জন্মসূত্রে হিন্দু হলেও ছেলে কিন্তু কোরআনের হাফেজ। তাদের একই ঘরে হয় পূজা পার্থনা ও কোরআন তেলাওয়াত। এমন একটি পরিবার আছে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার বালাহৈর গ্রামে। মা মলিনা রানী বিয়ে হয় হিন্দু ছেলে মন্টুর সাথে। পরবর্তীতে স্বামীর পরামর্শে দুজনেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। নাম রাখা হয় মলিনা রানী পরিবর্তে মরিয়ম বিবি ও স্বামীর নাম রাখা হয় দেলোয়ার হোসেন। সংসার জীবনে জন্ম নেয় এক এক করে দুই ছেলে ওএক মেয়ে। এক সময় সন্তান স্ত্রী রেখে স্বামী পাড়ি জমায় ভারতে।
পরবর্তীতে মা ও আত্মীয়-স্বজনের চাপে আবারো বিয়ে করতে হয় মলিনা রানী কে হিন্দু ছেলের সাথে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে মলিনার দ্বিতীয় স্বামী ও কিছুদিন পর ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু তিনি হিন্দু ধর্মই পালন করেন। তারপরও দ্বিতীয় সন্তান আব্দুল মমিন কে লেখাপড়ায় রাখলেন মাদ্রাসাতে। তিনি এখন কোরআনের হাফেজ।
মলিনা রানী ও আব্দুল মমিন বলেন,অনেক হুজুরেরা বলে হিন্দু হাতে রান্না খাওয়া ও এক সাথে থাকা যাবে না। অনেকে আবার ত্রিষ্কার করে।আমাদের কথা, যার ধর্ম যে পালন করুক আমরা একই জায়গায় একসাথে বসবাস করবো।