ডিডিএন ডেস্ক : টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রস্তুতকারী ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে তেজগাঁও থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন । গত ২৫ জুন তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেজগাও বিভাগের উপ-কমিশনার।
গত ২৩ জুন গুলশানের কনফিডেন্স টাওয়ারে অবস্থিত জোবেদা খাতুন সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবার (জেকেজি হেলথ কেয়ার) অফিস থেকে তেজগাঁও থানা পুলিশ আরিফুল চৌধুরী, হুমায়ন কবীর, হুমায়নের স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারিসহ ৬ জন কে গ্রেফতার করে। পুলিশের ওই অভিযান চলাকালে ডা. সাবরিনা সুলতানা পালিয়ে যান। ওই ৬ জনকে তেজগাঁও থানায় নিয়ে আসা হয়। ওই দিন রাতেই আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী আসামীদের ছিনিয়ে নিতে তেজগাঁও থানায় হামলা চালায়। থানার কলাবশিবল গেট ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ওই ঘটনায় পুলিশ থানার ভিতর থেকে ১৮ জনকে গ্রেফতার করে। পরদিন আদালতে হুমায়ন কবীর ও তার স্ত্রী তানজিনা এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আরিফুলসহ ৪ জনকে পুলিশ ২ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী জানান সাবরিনা করোনা টেস্ট রিপোর্ট ভুয়া দিতেন। গুলশানের জোবেদা খাতুন সার্বজনীন হেলথ কেয়ার অফিস থেকে পুলিশ করোনার এ রকম ১৫ হাজার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট পেয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদকারী এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আরিফুল ও তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা মাদকাসক্ত। বিশেষ করে তারা ইয়াবা সেবনকারী। গত মে মাসে সরকারি তিতুমীর কলেজের করোনা বুথে রাতের বেলায় তারা ইয়াবার আসর বসিয়েছিল। ছাত্রলীগ বিষয়টির প্রতিবাদ করলে ডা. সাবরিনার ক্যাডার বাহিনী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বেদম মারপিট করে। তারা বিভিন্ন বুথে রাতের বেলায় মদ ও ইয়াবার আসর বসাতো। এসবের খবর পেয়েই তেজগাঁও থানা পুলিশ গুলশানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
এদিকে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন চিঠির বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা: আবুল কালাম আজাদ কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শোকজ করেছে। মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতর কর্মকর্তা বলতে কী বোঝানো হয়েছে এবং রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কী কী বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে।