1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

কমলগঞ্জে বিদ্যালয় ঘেঁষে ইটভাটা!

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
  • ২৭০ সময় দর্শন

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : কমলগঞ্জে জালালিয়া এলাকায় বেগম জেবুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঘেঁষে কার্যক্রম চালাচ্ছে একটি ইটভাটা। কৃষিজমিতে গড়ে উঠা এ ইটভাটা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও থেমে নেই ইট পোড়ানো। এরই মধ্যে ভাটার কালো ধোঁয়া ও ছাই ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা। তবে ইটভাটার মালিকরা দাবি করছেন তারা আইন মেনেই ভাটা স্থাপন করেছেন।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের দুপাশেই জমা করে রাখা হয়েছে ইট। ভবনের বারান্দা পর্যন্ত স্তূপীকৃত কাঁচা ও পোড়ানো ইট। ভবনের দেওয়াল ও বারান্দার রেলিংয়ে ছাইয়ের আস্তরণ পড়ে গেছে। এমন অবস্থা যে, বিদ্যালয় খোলা হলে শিশু শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক চলাচলের জন্যও কোনো খোলা জায়গা পাবে না।

জেবুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নার্গিস আক্তার জানান, দীর্ঘদিন ধরে থাকা এ ইটভাটাটি করোনা পরিস্থিতিতে আরো বেশি জায়গা ব্যবহার করছে। ইটভাটা বাচ্চাদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

স্থানীয় শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. রফিক মিয়া বলেন, বিদ্যালয় ঘেঁষে ইটভাটা হওয়ায় শিশুদের পড়ালেখার পরিবেশ মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাহাড়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং লোকালয় থেকে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। উপজেলায় শুধু জেবুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ই নয়, মুন্সীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালিপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় এবং সাজেদা বারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পার্শ্ববর্তী কৃষিজমির ওপর গড়ে উঠেছে এরকম ইটভাটা।

কমলগঞ্জের আহমদ সিরাজ, শহীদ সাগ্নিকসহ কয়েক জন জানান, বিদ্যালয়ের একেবারে সন্নিকটে ইটভাটা থাকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে ইতিপূর্বে অবহিত করা হয়েছে। পরে গত বছর উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা লোকালয়ের পাশে ইটভাটার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের শ্বাসকষ্ট, কাশি, এলার্জি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, অনেক আগে থেকেই ইটভাটাগুলো গড়ে উঠেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে তিনটি ইটভাটা নিয়ে বিগত সময়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তার পরও ইটভাটাসমূহের কার্যক্রম বিষয়ে গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host