ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া ব্র্যাক ব্যাংক থেকে এমএমই (স্মল মিডিয়া এন্টারপ্রাইজ) লোনের জামিনদার হয়ে জেলে গেছেন দুলাল হোসেন(৩৫)নামের এক দরিদ্র। তিনি ভাঙ্গুড়া উপজেলার ঝি:কলকতি গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে। দুলাল পেশায় একজন দর্জি। স্বল্প আয়ে কোনো রকমে সংসার চলে তার। ভাঙ্গুড়া পৌরসভার শরৎনগর বাজারের হাসিনুর ট্রেডারর্স এর স্বত্তাধিকারী মো: হাসিনুর রহমান ২০১০ সালে তাকে ঐ ব্যাংকের শাখায় ডেকে নিয়ে একটি এসএমই লোনের জামিনদার বানিয়ে ¯^াক্ষর নেয়। এর পর সে আর কিছু জানেনা। হঠাৎ গত বুধবার (৬ জানুয়ারি) ভাঙ্গুড়া থানার পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে কোর্টে চালান দেয়। তারপর থেকে তিনি জেলে রয়েছেন।
দুলালের বাবা আয়নাল হক পাবনা জেলা কারাগারে ছেলের সাথে ¯^াক্ষাত করে এসে আজ মঙ্গলবার(১২ জানুয়ারি)ব্র্যাক ব্যাংকের শাখায় গিয়ে মামলার তথ্য নেওয়ার সময় সংবাদকর্মীদের ঘটনাটি বর্ননা করেন।
শাখা ব্যবস্থাপক এম কে মুকুল ও ঋণ আদায় সংক্রান্ত অফিসার গাফফার হোসেন বলেন,হাসিনুর রহমান তাদের ব্যাংক থেকে ৬ লাখ টাকা এসএমই(ক্ষুদ্র ও মাঝারী ঋণ) লোন নেন। আর এর জামিনদার ছিলেন ঝি:কলকতি গ্রামের দুলাল হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম। হাসিনুর ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা পরিশোধের পর কিস্তি বন্ধ করে দেন। ফলে প্রথমে চেক কালেকশন ও পরে সুদসহ ১২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দাবী করে তার বিরুদ্ধে অর্থ ঋণ মামলা রুজু করা হয়। আদালত তাদের নামে প্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। হাসিনুর ও জাহাঙ্গীর পলাতক থাকলেও দুলালকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
শরৎনগর বাজারের সার ব্যবসায়ী আব্দুল জাব্বার বলেন,দরিদ্র ব্যবসায়ীরা এসএমই লোন নেন। তাদের জামিনদারও দরিদ্র লোকেরাই হয় কিন্তু জামিনদারের জেলে যেতে হলে ওই লোন আর কেউ নিবে না। এছাড়া বেকারত্ব দূরীকরণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ¯^নির্ভর করার উদ্দেশ্যে যে এসএমই চালু করা হয়েছে তা ব্যর্থ হচ্ছে।।