সংবাদ ডেস্ক: চাঁদা না পেয়ে নড়াইলের নবগঙ্গা নদী পূণঃখননের কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মো. সজল আহম্মেদ টুলু ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে সজল আহম্মেদ কোটাকোল ইউনিয়নের মৃত উতার উদ্দিন শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় নদী খনন কাজের সাব ঠিকাদার মো. আছাদুল হক বাদি হয়ে দিবাগত রাতে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্য অভিযুক্তরা হলেন একই ইউনিয়নের মৃত রইচ খন্দকারের ছেলে বিল্লাল হোসেন খন্দকার, রুবাই মোল্যার ছেলে মহাসিন মোল্যা, সোরাফ শেখের ছেলে শাহিদ শেখ, আলম চৌধুরীর ছেলে মাছুদ শেখ। এ ছাড়াও ভাঙচুরের সময় মুখে গামছা বাঁধা অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জন ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই অভিযোগে।
ঠিকাদার আছাদুল বলেন, কয়েকদিন ধরে অভিযুক্তরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সজল আহম্মেদ টুলুসহ ৪০/৫০ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজনের উপর হামলা করে এবং আমাদের থাকার অস্থায়ী টিনের ঘরটি ভাঙচুর করে। এ সময় নগদ টাকা, মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কথা হয় সজল আহম্মেদ টুলুর সাথে। তিনি নিজেকে ভ‚মি অধিকার আন্দলন কমিটির সদস্য দাবি করে বলেন, আমরা সাধারণ জনগনের স্বার্থে নবগঙ্গা নদী তীরবর্তী নির্দিষ্ট কয়েকটি মৌজার নাম উল্লেখ করে হাই কোর্টে একটি আবেদন করি। উচ্চ আদালত আমাদের পক্ষে রায়ও দিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ঠিকাদারের লোকজন পুনরায় নদী খনন করা শুরু করে। বিষয়টি মিমাংশা না হওয়া পর্যন্ত যাতে নদী খননের কাজ শুরু না করা হয় সেই লক্ষে স্থানীয় লোকজন নিয়ে আমরা বাঁধা দেই। এ সময় তিনি কখনও বিএনপি নেতা ছিলেন না বলেও দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমানের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদী পুণঃখননের বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নড়াইলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী স্বপন কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত এক পত্র সূত্রে জানাগেছে, গত ৩ ডিসেম্বর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নবগঙ্গা নদী পুনঃখনন কাজ শুরু করতে গেলে কিছু লোক বাঁধা দেয় এবং কাজের সাইট থেকে তাদের সরে যেতে বাধ্য করেন। যা সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অসাধু তৎপরতার সামিল। এ বিষয়ে সরকারী উন্নয়ন প্রকল্প বাঁধাহীন ভাবে বাস্তবায়নের স্বার্থে আইনগত সহায়তা প্রদানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।