শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অস্বাভাবিক গরমেও খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক ভাঙ্গুড়ায় দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ?

আটঘরিয়ায় নারীরা কুমড়ো বডি তৈরিতে ব্যস্ত

পাবনা প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৪৯৩ সময় দর্শন

বড় মাছের যে স্বাদ, এর সঙ্গে কুমড়ো বড়ি দিয়ে রান্না করলে স্বাদ ঢের বেশি হয়। আবার মাষ কালাইয়ের ডালের কুমড়ো বড়ি দিয়ে শুধু ডাল দিয়েই পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। কুমড়ো বড়ি ভেজে ভত্তা করলে এর স্বাদও মুখে লেগে থাকে। এছাড়া শীতকালে তরকারির সঙ্গে কুমড়ো বডির স্বাদই আলাদা।

স্বাদের কারনে কুমড়ো বডি চাহিদাও বেশি। তাই আটঘরিয়া পৌর সভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের মা চাচিরা শীতকালে কুমড়ো বডি দেওয়ার ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শুধু তাই নয় রাধাকান্তপুর, দেবোত্তর, মিয়াপাড়া, নাগদহ, সড়াবাড়িয়া, কয়রাবাড়ী শ্রীকান্তপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। তারা মইয়ের উপর চিকন বাঁশের খিল দিয়ে তৈরি করা মাচায় সাদা ধবধবে কুমড়ো বড়ি শুকানো হচ্ছে। আবার কোথায় কোথায় রাস্তার পাশে বাঁশের মাচার উপর কুমড়ো বড়ি রাখা হয়েছে। গ্রাম জুরে ধবধবে শুধু কুমড়ো বড়ি। এই গ্রামের নারীরা কেউ বা কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত আবার কেই বা শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

নারীরা জানান, কুমড়ো বড়ির তৈরির প্রধান উপকরন মাষকালাইয়ের ডাল, মাচার কুমড়ো, কালি জিরা ও মসলা। বাজার থেকে কালো জিরা কিনে রোদে শুকিয়ে জাতায় পিষে রাখা হয়। তার পর পানিতে সব উপাদান মিশিয়ে কুমড়ো বড়ি সম্পাদনা করা হয়।

গৃহিনী রেহেনা, আলেয়া, আনোয়ারা, উর্র্মি, মাজেদা, শরিফা, মনজিলা, আছিয়ার মত অনেকেই জানান, মাচার চাল কুমড়ো মাষ কালাইয়ের ডাল সহ বিভিন্ন উপাদান পানিতে ভিজে রাখি। তারপর সব গুলো নরম হলে পরিবারের সবাই মিলে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে জাতায় বাটা হয়। এরপর গাবলার মধ্যে দিয়ে ভিজানো মাষ কালাই ও কুমড়ো অনেক সময় ধরে মিশানোর পর সাদা ধবধবে হওয়ার পর পাতলা কাপড়ে করে মাচার উপর ছোট ছোট করে বডি দেওয়া হয়। ভালো করে শুকানো হলে কুমড়ো বড়ি সাদা কাপড় থেকে তুলে পাতিলেও বয়েমের কৌটায় রাখা হয়। এসব বড়ি মিরামিস্ তরকারির সাথে খুব মজা লাগে।

মনোহারপুর গ্রামের রাকিব হোসেন জানান, এই শীতে কুমড়ো বড়ির স্বাদই আলাদা। যা প্রতিটি ছোট বড় মাছের সাথে খুব মজা করে খাওয়া যায়। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ফয়দা লুফে নেয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এই কুমড়ো বড়ি বিক্রি করছে। যা স্বাস্থ্য সম্মত না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টি কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd