বিশেষ প্রতিবেদক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিভাবে পরবর্তী ক্লাশে উঠবে তা নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকরা অসস্তিতে পড়েছেন। কোনো কোনো উপজেলায় শিক্ষা অফিসারগণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে যুক্ত হয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসার মাধ্যমে মুল্যায়ন পুর্বক প্রমোশনের নির্দেশ দিয়েছেন। আবার কোথাও পুর্বের মুল্যায়ন দেখে প্রমোশনের কথা বলেছেন। ফলে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রমোশন দেওয়া হবে তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।
শিক্ষকরা জানান, ডিসেম্বরের ২০ তারিখের পর বই বিতরণের কাজ শুরু হবে। মাত্র কয়েকদিন সময় হাতে,তাই এত অল্প সময়ে মূল্যায়নের কাজ কিভাবে সম্পন্ন হবে ! এছাড়া ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়ার কাজটিও এখনই সম্পন্ন করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর জেলার সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৌহিদ খান বলেন,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে সহকারী শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক পদোন্নতি দিবেন এবং তাদের পরবর্তী ক্লাশের বই বিতরণ করবেন। সমাপনি পরীক্ষা না হলেও প্রধান শিক্ষক নির্ধারিত ফরমেটে নিজ শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ সনদ প্রদান করবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) যুগ্ন সচিব মো: মিজানুর রহমান বলেন,নতুন কোন পরীক্ষা নয়,কোন শিক্ষার্থীর কাছে ফোন দিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসার প্রয়োজনও নেই। তবে অটো প্রমোশনেও আমরা বিশ্বাসী নই। তাই পুর্ব পরীক্ষার মুল্যায়ন দ্বারাই ছাত্র-ছাত্রীরা প্রমোশন পাবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যেভাবে পুর্ব মুল্যায়নের মাধ্যমে রোল নির্ধারণ করেছিলেন সেভাবেই শিক্ষার্থীরা পরবর্তী ক্লাশে উঠবে। করোনাপূর্ব পরিস্থিতিতে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকরা ক্লাশ পরীক্ষা নিয়েছেন। এটিও মূল্যায়নের অন্যতম ভিত্তি।
তিনি আরো বলেন, করোনাকালিন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছিলেন। সংসদ টিভির পাঠদান প্রক্রিয়ার সাথেও তারা উভয়েই যুক্ত ছিলেন। তাই মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা নেই। শিক্ষকদের বিবেচনায় তারা ইতোমধ্যে যথার্থ ভাবেই মূল্যায়িত হয়েছে।