ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্মৃতি হারানো এক কিশোরীর স্বজনদের সন্ধ্যান চেয়ে সোমবার ফেস বুকে স্ট্যাটাস দেন ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন। এর পর ডিডিএন নিউজ একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তার কয়েক ঘন্টা পরই মেয়েটির সন্ধ্যান মেলে। মেয়েটির নাম তানিয়া আক্তার। বয়স ১৫ বছর। ওর পিতার নাম মৃত মোশারফ । তার বাড়ি চাটমোহর থানার রামপুর গ্রামে। তবে মায়ের অন্য কারো সাথে বিয়ে হওয়ায় মেয়েটির অভিভাবক এখন তার মামা। ওর মামার নাম হোসেন আলী। তার বাড়ি ফরিদপুর থানার বের হাউলিয়া গ্রামে।
হোসেন আলী বলেন,তানিয়ার মাথায় সমস্যা। ওর বাবার মৃত্যুর পর মায়ের আবার বিয়ে হয়। তার পর থেকে সে আমার কাছেই ছিল। সবসময় দুশ্চিন্তা করায় তার মাথাটা খারাপ হয়ে যায়। তখন থেকেই তার কিছু মনে থাকে না। এখন সে অনেকটাই স্মৃতিহীন।
হোসেন আলী ডিডিএন নিউজকে বলেন,অন-লাইনে তানিয়ার খবর দেখে রাতেই ভাঙ্গুড়া থানায় চলে আসি। সেখানে দেখতে পাই আমার ভাগ্নি তানিয়াকে। ওসি সাহেব খুব যত্নে মহিলা পুলিশদের কাছে তাকে রেখেছিলেন। মহিলা পুলিশরাও অল্প সময়ের মধ্যে তানিয়াকে আদর-ভালোবাসা দিয়ে আপন করে নিয়েছিল। তারা তাকে খাইয়ে দিয়েছে। তার সাথে আপনজনের মত মিশে তাকে অনেকটা সহজ করে তুলেছেন। এজন্য তিনি ওসি সাহেব ও মহিলা পুলিশদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
ওসি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,মেয়েটিকে ওর মামার কাছে তুলে দিতে পেরে আমরা খুশি।
উল্লেখ্য,সোমবার মধ্যরাতে পুলিশ ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়ালব্রিজ রেল স্টেশনের প্লাট ফরম থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই মেয়েটিকে পায়।