সরকার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাাকিংয়ের জন্য জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচির চলমান অগ্রগতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, এই পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য ছিল কর্মসূচির মাঠ পর্যায়ের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, ডেটা ট্র্যাককিংয়ের সঠিকতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা।
পরিদর্শনকারী টিমকে হাসপাতালের জরায়ু মুখ ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক, পাবনা মেডিকেল কলেজের গাইনী এন্ড অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. নার্গিস সুলতানা এবং ব্রেষ্ট ক্লিনিক এর চলমান স্ক্রিনিং কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক পাবনা মেডিকেল কলেজের সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও গত কয়েক বছরের অগ্রগতি এবং পরিসংখ্যান মাল্টিমিডিয়াতে উপস্থাপন করেন গাইনী এন্ড অবস বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. লতা।
তিনি সফলভাবে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ স্ক্রিনিং কার্যক্রমের ডেটা ব্যবস্থাপনা, রোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং ফলো-আপ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যা্কিং সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ এবং তার কার্যকারিতা প্রদর্শন করা হয়।
পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদলের প্রধান স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আব্দুস সালাম খান কর্মসূচির সফল ও নিবেদিত বাস্তবায়নের জন্য হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এসময় তিনি বলেন, “মুখ ও স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে সময়োপযোগী স্ক্রিনিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসকগণের নেতৃত্বে দুটি ক্যান্সার স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম যেভাবে সমন্বিতভাবে এগিয়ে চলেছে, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। ডেটা ট্র্যালকিংয়ের গুণগত মান বজায় রেখে কর্মসূচির আওতা আরও বাড়ানোই এখন মূল লক্ষ্য।”
অনুষ্ঠানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মুহাম্মদ আলী, পাবনা মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মাসউদুর রহমান এবং মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবু মো. শাফিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম।