বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে স্থগিত হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এসেছে। তার মতে, এই দল যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তবে সেটি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের মতো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিটি জায়গা থেকে একজন করে প্রার্থী দাঁড়াবে, ফলে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি দাবি করেন, বিএনপির জন্য জেল খেটেছেন, নির্বাসনে থেকেছেন এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে অসংখ্য বক্তৃতা দিয়েছেন। অথচ একটি বক্তব্যের জন্য তাকে তিন মাসের জন্য দলের সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। অথচ তিনি দীর্ঘ আট বছর ধরে জেলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। হামলার শিকার হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায়ও তিনি দলের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বলে জানান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমার বয়স এখন ৭৮ বছর, প্রতিটি মুহূর্তই আমার কাছে মূল্যবান। আমাকে যদি রাজনীতি থেকে সরিয়ে রাখা হয়, তবে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার বা ভিন্ন পথে হাঁটার বিকল্পই থাকবে।’’
তিনি বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা সম্মেলনের আগে তার ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হোক। তার ভাষায়, ‘‘আমি ভুল করতে পারি, কিন্তু আমাকে বাতিল করা ঠিক নয়। আমি যে ভিত্তির ওপর সংগঠন গড়ে তুলেছি, তার ওপরই বর্তমান কমিটি দাঁড়িয়ে আছে।’’
এ সময় তিনি আরও দাবি করেন, দেশের বাইরে থাকা প্রায় ২ কোটি বাংলাদেশির ৯৯ শতাংশই তার পাশে দাঁড়াবে। তাই বিএনপিতে না থেকেও তিনি রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ গড়ে তুলতে পারেন বলে ইঙ্গিত দেন।
সূত্র: এফএনএস।