আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকে রয়েছেন, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার এক প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা এমন তথ্য জানিয়েছে।
বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তির অভিজ্ঞতা
কুনার প্রদেশের নুরগাল এলাকার বাসিন্দা সাদিকুল্লাহ জানান, গভীর রাতে বজ্রঝড়ের মতো শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তার। সন্তানদের উদ্ধারে দৌড়ে যান তিনি। তিনজনকে বাঁচালেও বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে তার ওপরে। “আমি অর্ধেক মাটিচাপা পড়েছিলাম, বেরোতে পারিনি,”বলেন তিনি। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে নিহত হয়েছেন। কয়েক ঘণ্টা পর প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
নারী-শিশুরাই বেশি হতাহত
নানগারহার প্রদেশের দারাই নুর জেলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটিএ। লাগমান প্রদেশে আহত হয়েছেন ৫৮ জন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জানান।
আন্তর্জাতিক সহায়তার হাত বাড়ল
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি শোক প্রকাশ করে মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ত্রাণ পাঠাতে প্রস্তুত তেহরান।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সমবেদনা
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, “আফগানিস্তানের মানুষের পাশে জাতিসংঘ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।”
‘পুরো গ্রাম ধ্বংস’
কুনারের নুরগাল জেলার এক বাসিন্দা জানান, তার পুরো গ্রামটি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। “শিশুরা ধ্বংসস্তূপের নিচে। বয়স্করা ধ্বংসস্তূপের নিচে। তরুণরাও চাপা পড়েছে। এখানে আমাদের সাহায্য দরকার। মানুষজনকে টেনে বের করতে কেউ আসেনি,”বলে তিনি আকুতি জানান।
সূত্র: এফএনএস।