গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলায় নতুন করে ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃস্পতিবার ভোরে গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলায় মারা যান তারা। বৃস্পতিবার গাজার হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানায় আল জাজিরা।
নিহতদের মধ্যে তিনজন ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলের হামলার শিকার হন। প্রায় প্রতিদিনই এসব ত্রাণ শিবিরে খাবারের খোঁজে আসা ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে বর্বর হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।
এরআগে, বুধবার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। আল জাজিরা জানায়, বুধবার ভোরের দিকে শিশুসহ অনেকে মার্কিন-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন তারা হামলার শিকার হন।
এরআগে মঙ্গলবার ইসরাইলি হামলায় নিহত হয় অন্তত ৮৬ ফিলিস্তিনি। এদেরমধ্যে ৫৬ জন নিহত হন ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চেলে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলের সেনাদের গুলিতে অন্তত ২৭ জন নিহত হন। ওয়াদি গাজার দক্ষিণে সালাহ আল-দিন সড়কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে গুলির এ ঘটনা ঘটে। এতে আরো ১৪০ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের আলতিনা সড়কে ত্রাণ নিতে গেলে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরাইলি সেনারা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রাণ নিতে গিয়ে গত এক মাসে ইসরাইলি বাহিনীর গুলি ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৫১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন হাজার ৭৯৯ জন।
এছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সূত্র: আমার দেশ।