1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব আর নেই হাদি হত্যা মামলায় ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীর স্বীকারোক্তি জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম : জামায়াত আমির সবাই মিলে করবো কাজ, গড়বো মোদের বাংলাদেশ-তারেক রহমানের স্লোগান বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা, গণঅধিকারের তিন নেতার পদত্যাগ ভাঙ্গুড়ায় মেধাবৃত্তি পরীক্ষায়  শরৎনগর প্রা: বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন তারেক রহমান ভাঙ্গুড়ায় আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তার নির্দেশে পরিচ্ছন্নতা অভিযান নির্বাচন সামনে রেখে উন্নয়ন প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা ইসির তারেক রহমানকে বরণ করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি বিএনপির

হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস

ডিডিএন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ১৮৮ সময় দর্শন

১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার কথিত অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ দণ্ডিত সবাইকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলাটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আরো ২৫ আসামি ছিলেন।

বুধবার সকালে বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

খালাস পাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামি হলেন- পাবনা জেলা বিএনপি নেতা কে এম আখতারুজ্জামান, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র মোকলেসুর রহমান ওরফে বাবলু, তার ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম ওরফে শাহিন, অপর ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা মাহবুবুর রহমান ওরফে পলাশ, বিএনপি নেতা মো. অটল, ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের সভাপতি শ্যামল (নূরে মোস্তফা), স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজিজুর রহমান ওরফে শাহীন ও বিএনপির সাবেক নেতা শামসুল আলম।

যাবজ্জীবন দণ্ডিত খালাস প্রাপ্ত ২৫ জন হলেন- বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, আজাদ হোসেন ওরফে খোকন, ইসমাইল হোসেন ওরফে জুয়েল, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, শামসুর রহমান, আনিসুর রহমান, আক্কেল আলী, মোহাম্মদ রবি, মোহাম্মদ এনাম, আবুল কাশেম, কালা বাবু, মো. মামুন, মামুন-২, সেলিম হোসেন, মো. কল্লোল, তুহিন, শাহ আলম ওরফে লিটন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, লাইজু, আব্দুল জব্বার, পলাশ, আবদুল হাকিম, আলমগীর হোসেন, এ কে এম ফিরোজুল ইসলাম ওরফে পায়েল এবং আবুল কালাম।

১০ বছর দণ্ডিত খালাস প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা ও ঈশ্বরদী উপজেলার শাহাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, আজমল হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. রনো, মো. বরকত, চাঁদ আলী, এনামুল কবির, মো. মোক্তার, হাফিজুর রহমান মুকুল, হুমায়ন কবির ওরফে দুলাল, জামরুল, তুহিন বিন সিদ্দিক এবং ফজলুর রহমান।

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ট্রেনে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনবহর হামলার শিকার হয়।

এ ঘটনায় ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার অভিযোগে ঈশ্বরদী জিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ) থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

মামলায় তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পরের বছর পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। কিন্তু আদালত সে অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠায় ।

পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মামলাটিকে পুনর্জীবিত করে। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ৫২ জনের নামে আদালতে আবার নতুন করে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর বিগত শেখ হাসিনা ক্ষমতা থাকাকালীন ২০১৯ সালের ৩ জুলাই এই মামলায় রায় দেন পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩–এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. রুস্তম আলী।

রায়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে দণ্ডিত ৪৭ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে দুজন মারা গেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জন ছাড়া বাকিরা গত ৫ আগস্টের পর জামিনে আছেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী কায়সার কামাল। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ, জামিল আক্তার এলাহী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান।

আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি গত ৩০ জানুয়ারি হয়েছিল, এরপর রায়ের জন্য আজ ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছিল।

আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে যথাযথ অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, যা বিদ্বেষপূর্ণ বিচার। আর তদন্ত ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ দায়সারা গোছের ও কাল্পনিক। এর বিচারিক আদালত অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মেটানো ও কাউকে খুশি করার জন্য ওই রায় দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে দণ্ডিত ৪৭ জনের মধ্যে এরই মধ্যে দুজন মারা গেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জন ছাড়া বাকিরা গত ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

সূত্র: আমার দেশ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host