1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:২২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ

ডিডিএন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ১৪০ সময় দর্শন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে সংরক্ষিত কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ (স্থগিত) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুদকের পরিচালক (উপসচিব) কাজী সায়েমুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতিক্রমে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুদকের একটি বিশেষ টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে অভিযান চালায়।

অভিযানকালে সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর লকার থেকে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রিসিট) উদ্ধার করা হয়। এই সম্পদ তার নিয়মিত আয়কর রিটার্নে ঘোষণা করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

তদন্তকালে রেজিস্টার পরীক্ষা করে দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও কিছু কর্মকর্তা সিলগালা করা কৌটায় অর্থ ও সম্পদ রেখেছেন। দুদক মনে করছে, এসব লকারেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে সমস্ত লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার অনুরোধ জানায়।

গত ৩০ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার ‘দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার’ বিষয়ক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা সাময়িকভাবে লকার ফ্রিজের বিষয়ে সম্মতি দেন। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠায় দুদক।

এর ধারাবাহিকতায়, লকারে সংরক্ষিত সম্পদের তালিকা তৈরির জন্য গত সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আবেদন জমা দিয়েছে দুদক। অনুমতি পেলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খোলা হবে এবং সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, গভর্নরকে দেওয়া দুদকের চিঠি এবং অর্থ উপদেষ্টার সম্মতি থাকায় ইতোমধ্যে ভল্টের সব লকার ফ্রিজ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে সংশ্লিষ্ট লকারের মালিকরা তাদের লকার থেকে কোনো ধরনের অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে পারবেন না।

আদালতের আদেশ পাওয়ার পর, লকারগুলো খোলার এবং সম্পদ গণনার জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য দুদিনের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জমা দেবে দুদক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত লকারে অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার সন্দেহে দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যাপক অনুসন্ধানে নেমেছে। আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে এসব লকার খোলার পর প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। এই সিদ্ধান্ত দুর্নীতি প্রতিরোধ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: বাসস

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host