রাতের আঁধারে রহস্যজনকভাবে আগুন জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হলো প্রায় দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মূল্যের ড্রেজারের পাইপ।
ঘটনাটি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর হাটের পার্শ্ববর্তী পদ্মার শাখা নদীর উত্তর পাশে পতিত জমিতে স্তূপাকার করে রাখা ড্রেজিং কাজে ব্যবহৃত পাইপে শনিবার (১২ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ১ টার দিকে আগুন জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়।
সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয় একাধিক লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা নদীতে ড্রেজিং কাজে ব্যবহৃত ক্যসল কনস্ট্রাকশন কোং লি. এর একটা ড্রেজার এখানকার কাজ শেষ করে ড্রেজারটি নিয়ে গেলেও তাদের পাইপগুলো অনেকদিন যাবত এখানেই স্তুপ আকারে রেখে দিয়ে যান। জমিটা ওই এলাকার মুন্সিদের বলে জানা যায়।
কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মুন্না শিকদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি আমার দেশ কে বলেন, গত রাত ১.৩০ টার দিকে এখান থেকে ফোন কলের মাধ্যমে ঘটনাটি আমাকে জানানো হলে, তাৎক্ষণিক আমার মালিক পক্ষকে অবহিত করি। ওইস্থানে আমাদের কোম্পানির ১৭৫ টি এইচ ডি পি এবং ৫২ টি রাবার পাইপ নদীর তীরেই একটা পতিত জমিতে স্তুপ আকারে রেখে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জানতে পারি ওই জমির মালিক অত্র এলাকার কাইউম মুন্সি। গত ২/৩ মাস আগে তাঁর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বাৎসরিক ২৫ হাজার টাকা প্রদানের একটা মৌখিক চুক্তি হয়। তিনি আরও বলেন, জমির মালিক দাবি করা কাইউম মুন্সিকে জমির বৈধ কাগজপত্র নিয়ে অফিসে আসার কথা বলা হলেও এখনো তিনি যায়নি। গত কয়েকদিন আগে একটি নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে আমার নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ঢাকা থাকার কারণে সকালে এসে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে ওসি সাহেবের নেতৃত্বে একটি দল আমার সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মামলা রুজু করে নেন। এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, অভিযোগটি পাওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। কেউ একজন তাঁদের নিকট চাঁদা দাবি করেছে বলে জানতে পারি। তবে ঘটনাটি পরিকল্পিত এটা বোঝা যায়। এই ঘটনার একটি অভিযোগ গ্রহণ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র: এফএনএস