ফিলিস্তিনের সর্বাধিক প্রচারিত ‘দৈনিক ফেলেস্টিন’ জানিয়েছে, বিশ্ব সেরা সন্ত্রাসী নেতানিয়াহুর বাহিনী শনিবার ভোরে আবারো গাজায় হামলা চালিয়ে ৫০ শিশুসহ ৮৪ জনকে হত্যা করেছে।
নেতানিয়াহুর বাহিনী দু’টি আবাসিক বহুতল ভবনে হামলা চালিয়ে ৮৪ জনকে হত্যা করেছে। ভবন দু’টিতে ১শ’ ৭০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলো।নেতানিয়াহুর বাহিনী আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়ে ৮৪ জনকে হত্যার ঘটনাকে ‘নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ বলে মন্তব্য করেছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম ‘দৈনিক ফেলেস্টিন’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই এলাকাটি অবরুদ্ধ করে ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত বোমা হামলার কারণে সেখানে উদ্ধারকর্মীরা যেতে পারছেন না।ওইএলাকায় কোনো ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা কিংবা ত্রাণ সহায়তা দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।সরকারের পক্ষ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বাধ্যবাধকতা নিশ্চি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে কাতার ভিত্তিক আল জাজিরার প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, দেশটির বালবেক-হেরমেল এলাকায় শনিবার ভোরে ইসরাইল বাহিনীর হামলায় ৫২ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৭২ জন। এনিয়ে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
এদিকে গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিয়ে গুঞ্জন উঠলে ও নেতানিয়াহু বাহিনীর ‘অমানবিক আগ্রাসন’ আরো বেড়েছে। এই অবস্থায় নেতানিয়াহুর প্রস্তাবিত স্বল্প মেয়াদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানবে না স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা। হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি শনিবার সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরাকে একথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বন্দিদের মুক্ত করার জন্য স্বল্প মেয়াদ এ চুক্তি ইসরাইলের এক ‘নয়া চল-চাতুরি।’ হামাসের মুখপাত্র আরো জানিয়েছেন,গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করেই বন্দিদেও ফেরত চাওয়ার বিষয়টিকে ও হামাস প্রত্যাখ্যান দিয়েছে। স্বাধীনতাকামী হামাস জানিয়েছে, বন্দিদের মুক্তি দিলেও নেতানিয়াহু বাহিনী আবারো বোমা হামলা শুরু করতে পারে।
বাসস