1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন

ভাঙ্গুড়ায় ভাড়া বাসায় ডাকঘরের কাজ চলছে,দু’বছর ধরে সংস্কার-নানা অনিয়ম!

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৮১ সময় দর্শন

ভাঙ্গুড়া সংবাদদাতা :
ছয় মাস সংস্কার কাজের মেয়াদ থাকলেও দু’বছরে বুঝে দেওয়া হয়নি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা ডাকঘর ভবন। নানা অনিয়মে কালক্ষেপণ ও দীর্ঘদিন ভাড়া বাসায় অফিসের কাজ করায় এখান থেকে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। জানাগেছে,ডাক বিভাগের অধীনস্ত জরাজীর্ণ ভাঙ্গুড়া উপজেলা ডাকঘরটি সংস্কারের জন্য গত ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে মাসে পাঁচ হাজার টাকায় দু’কক্ষের একটি অফিস ভাড়া নেওয়া হয়। গত ২০২২ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে ঠিকাদার সংস্কার কাজ শুরু করেন। ডাক অধিদপ্তর এই কাজের সময়সীমা ৬ মাস নির্ধারণ করে দেয় কিন্তু ঠিকাদার একটি লভ্যাংশে কাজটি বিক্রি করে দেন জনৈক ঠিকাদারের কাছে। এভাবে নানা অনিয়মে প্রায় দু’বছর অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট ডাকঘরের নিজস্ব ভবনে আজও কাজ শুরু করা যায়নি।

এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক আনজির আহম্মদ এর কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি জুম মিটিং এ ব্যস্ত আছেন উল্লেখ করলেও তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে জানান। ঠিকাদার আবার তার সাব ঠিকাদারকে বিষয়টি জানান। এ সময় জানা যায়,ডাকঘর সংস্কার এরিয়ায় টানানো সাইনবোর্ডে প্রকৃত ঠিকাদার আতাউর রহমান খান লি: উল্লেখ থাকলেও তিনি নিজে কাজ না করে চাটমোহরের এস.এ এন্টারপ্রাইজের কাছে ওয়ার্ক অর্ডার বিক্রি করে দেন। এস.এ এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী সাব-ঠিকাদার খ.আবু জাফর মু.হাবীবুল্লাহ ওরফে ”ঞ্চল খন্দকার এক বছর দশ মাস ধরে সংস্কার কাজ করছেন। ফলে বিভাগটি অফিস ভাড়া বাবদ মোটা টাকার রাজস্ব ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এখানকার অধিবাসীরাও ভাড়া বাসার ছোট্ট অফিসে পোস্টাল সেবা পেতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

এদিকে পোস্ট অফিসের সামনে ত্রিশ হাজার টাকা মুল্যের একটি বড় মেহগুনি ও একটি আম গাছ কেটে কর্মকর্তারা আতœসাতের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান,গত ২৪ নভেম্বর পোস্ট অফিসের জনৈক কর্মচারী ঐ গাছগুলো তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা পোস্ট মাস্টার নাহিদা সুলতানা জানান,পোস্ট অফিস বিল্ডিং রেডি না হওয়া পর্যন্ত ৫ হাজার টাকার ভাড়া ঘরে কাজ করতে হচ্ছে। সাব ঠিকাদার ”ঞ্চল খন্দকার কর্তৃক অফিসের দু’টি গাছ কাটার কথা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন,গাছ বিক্রির প্রায় ১৩ হাজার টাকা তার কাছে জমা রয়েছে। ঐ টাকা রাজস্ব চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি কেন বা সরকারি গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে টেন্ডার নীতি অনুসরণ করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে অবশ্য তিনি কিছু বলতে পারেননি।

”ঞ্চল খন্দকার নিজেকে সাব-ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে বলেন,অফিসে প্রতিবন্ধীদের চলাচলের সুবিধায় সোজাসুজি সিড়ি নির্মাণের জন্য পাবনার ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল তাকে গাছ কাটার নির্দেশ দেন। এজন্য ভবন হস্তান্তরে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি জানান সংস্কার কাজ শেষ তবে অফিসের কক্ষগুলোতে ফ্যান লাগানো ও প্রতিবন্ধীদের সিড়ি নির্মাণ হলেই ভবন বুঝে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে পাবনার ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো: আনোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host