অনলাইন ডেস্ক : বিরোধীদল ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে দেশে কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকার নয়, সেনাসমর্থিত সরকার গঠনের চেষ্টা করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দেশে বিরোধীদল ও পশ্চিমারা মিলে আবারও সেনা সমর্থিত সরকার গঠন করতে পারেন এমন অনুমান করছেন আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘দেশে একটা অচল অবস্থা সৃষ্টি হবে। সেটা বিএনপি এবং পশ্চিমা বৃহৎশক্তিগুলো করবে। তার ফলে জরুরী অবস্থায় সরকার গঠনের সুযোগ হবে। তবে তখন কেয়ারটেকার সরকার হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কম আমি মনে করি। আমেরিকান চাপ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কিছু লোককে উপদেষ্টা মন্ত্রী করে একটা কেয়ারটেকার সরকার করবেন।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যখন এগিয়ে আসছে তখন তিনি বলছেন বিদেশি প্রভাব ও দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ মিলে সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে না বলে জানান তিনি।
ফজলুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই দলের মধ্যে কোনো রাজনীতি নেই। শুধু মাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার ও ক্ষমতায় টিকে থাকার কৌশল। এই দুই দল নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু মানবিক সম্পর্কে আসতে পারছে না। এজন্য আমার মনে হয় নির্ধারিত তারিখে স্বাভাবিক নির্বাচন হবে না। নানাভাবে দেশে অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে। দরকার হলে টাকা খরচ করে হলেও করতে পারে। এখানে আমেরিকার একান্ত অনেক বুদ্ধিজীবি আছে যারা নির্বাচন বা রাজনৈতিক ঘটনা নির্ধারিত করে।’
তিনি বলেন, ‘যদি আওয়ামী লীগ কোনো ক্রমে ক্ষমতায় বসে যায় আবার তাহলে বিএনপিসহ আরও অনান্য দল সরকারকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে দেবে না, গণ্ডগোল করে সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে চাইবে। আবার আমেরিকানরা সরকারকে রক্ষা করতে চাইবে বাংলাদেশে এসে তাও না। বড় রাষ্ট্রগুলো তারা নির্বাচনই গণতন্ত্র আবার গণতন্ত্রই নির্বাচন এরকম একটা ধারণা সারা দুনিয়ার মানুষকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সূত্র : কালবেলা