মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ! আগামীকাল ভোট দীর্ঘ প্রত্যাশিত- ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ সড়কে পাকাকরণের কাজ শুরু ! রিজার্ভ নিয়ে তিন হিসাব, চাপ বাড়ছে ভাঙ্গুড়ায় ধান পরিস্কারের সময় ফ্যানে লুঙ্গি পেঁচিয়ে কৃষকের মৃত্যু  ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ কার্যালয় নতুন প্রশাসনিক ভবনে স্থানান্তর এমআইটিতে পড়তে চায় নিঝুম,অর্পি-আলফির স্বপ্ন চিকিৎসক ভাঙ্গুড়ায় কৃষি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন ! ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড ‘‘তুমি এসেছিলে বলে হেসেছিল স্বাধীনতা, হেসেছিল বাংলা’’ দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে-ড. নাহিদ হুসেইন ভাঙ্গুড়ায় ৮ মহিলা সমিতির সাফল্যে নিয়ন্ত্রণ ছাড়লো সিসিডিবি! ভাঙ্গুড়ায় ভেজাল ওষুধ মজুতের অপরাধে মাধুর্য মেডিসিনকে জরিমানা: বিপুল পরিমান ওষুধ নষ্ট করা হয়

জেনারেল ফসি’র বর্ণাঢ্য জীবন: জনসেবার অভিপ্রায়ে রাজনীতি !

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১০১ সময় দর্শন
বিশেষ প্রতিদেক :
বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল সার্ভিসের ডাইরেক্টর (ডি.জি.এম.এস) পদ থেকে অবসরে যাওয়া সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ড. মোঃ ফসিউর রহমান।
চাকুরি থেকে অবসরে যাবার পর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য এবং পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হয়েছেন। এ আওয়ামীলীগ নেতা পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মরহুম দেলমাহমুদ ও মরহুম জসিমন নেসার দ্বিতীয় সন্তান।
ড. মোঃ ফসিউর রহমান ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই জন্ম গ্রহন করেন। শিশু শ্রেণীর পড়া লেখা শুরু ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা প্রাইমারী স্কুলে। তখন বট তলায় ক্লাস হতো। এরপর ভর্তি হন পাবনার পৈলানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে পড়াশুনা করেন ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত। বাবার বদলীর কারণে ১৯৬৮ সালে পুনরায় ভর্তি হন অষ্টমনিষা প্রাইমারী স্কুলে। এ স্কুল থেকেই তিনি পঞ্চম শ্রেণী পাস করেন। পরবর্তীতে বগুড়া মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল থেকে ১৯৭৪ সালে এসএসসি পাস করেন। ভর্তি হন বগুড়ার সরকারি আযিযুল হক কলেজে। এইচএসসি পাস করে ১৯৭৭ সালের শেষের দিকে ভর্তি হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ড. মোঃ ফসিউর রহমানের বাবা দেলমাহমুদ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভক্ত। তার বাবা বিভিন্ন যায়গায় ছুটে যেতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতা শুনতে। বাড়িতে এসে প্রশংসা করতেন শেখ মুজিবুর রহমানের। কৈশর বয়স থেকেই ড. মোঃ ফসিউর রহমানও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতা শুনতেন। বাবার মুখে, পরিবারের অন্যান্যদের মুখে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা শুনে এবং শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতা শুনে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত হয়ে পরেন ড. ফসিউর রহমান। সেই কৈশর বয়স থেকেই শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শন ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন তিনি।
১৯৬৯ সালের গন অভ্যুথানের সময় গোটা দেশেই শুরু হয় মিছিলের জোয়ার। ড. মোঃ ফসিউর রহমান তখন ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র। এই বয়সেই প্রায় প্রতিদিনই মিছিলে যোগ দিতেন তিনি। বাবা মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ভক্ত হওয়ায় তারা উৎসাহ যোগাতেন তাকে।
জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো। সোনার বাংলা শ্মশান কেন আইউব শাহী জবাব চাই। পাকিস্তান দেশ কৃষ্টি পুস্তিকা বাতিল করো বাতিল করো, কিশোর বয়সেই বন্ধু বান্ধব বড় ভাইদের সাথে এমন আরো স্লোগান দিতেন ড. মোঃ ফসিউর রহমান।
শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পেলেন। হয়ে উঠলেন বঙ্গবন্ধু। সবার চোখে মুখে সে কি আনন্দ! মিছিলে মিছিলে এ আনন্দের অংশীদার হন ড. ফসিউর রহমানও। সরকারী আজিজুল হক কলেজে লেখাপড়া করার সময় যুক্ত হন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় (১৯৭৮-১৯৮৪) ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ড. ফসিউর রহমানের বয়স তেরো-চৌদ্দ বছর। তখন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার শাহানগরে নানার বাড়িতে আসেন। তার নানা অছিমুদ্দিন খাঁন ছিলেন তৎকালীন শিক্ষিত ব্যক্তি। পন্চাশের দশকে উনি ইহলোক ত্যাগ করেন। তার মামারা সবাই বঙ্গবন্ধুর ভক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান করতেন ড. ফসিউর রহমানের মামার বাড়িতে। এক এক সময় বিশ পঁচিশ জন করে আসতেন। মুক্তিযোদ্ধারা যখন বিশ্রাম নিতেন সে সময় ড. ফসিউর রহমান ও তার বড় ভাই ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ধানের খড়, কাপড় দিয়ে কোন ঘড়ের চাতালে বা ঘসির (ঘুটে) ঘড়ে লুকিয়ে রাখতেন। সে সময় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ষ্টেনগান, গ্রেনেড ফায়ার করা শেখেন ড. ফসিউর রহমান।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জনের পর ১৯৮৫ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে যোগদান করেন ড. ফসিউর রহমান। সেনাবাহিনীতে প্রায় ৩৬ বছরের চাকুরী জীবনে বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সার্ভিসেস এর ডাইরেক্টর জেনারেল (ডিজিএমএস), আর্মডফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজের কমান্ড্যান্ট (অধ্যক্ষ), ঢাকা সিএমএইচ এর কমান্ড্যান্ট, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব সহ আরো অনেক দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য ছিলেন তিনি।
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা অবসর প্রাপ্ত মেজর জেনারেল ডক্টর ফসিউর রহমান মাইক্রো বায়োলজীতে পিএইচডি, মাস্টার অব পাবলিক হেলথ (এমপিএইচ), ফেলো অব দ্য কলেজ অব জেনারেল প্যাকটিশনার (এফসিজিপি), মাস্টার অব সিকিউরিটি স্টাডিজ (এমএসএস), মাস্টার অব বিজিনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ), ব্যাচেলর অব“ল” (এলএলবি) ডিগ্রী অর্জন ও ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) সম্পন্ন করেছেন। ফ্রান্সের মার্সাই এ শান্তি সহায়ক কার্যক্রমের প্রস্তুতি মূলক কোর্সও সম্পন্ন করেন তিনি।
নবম বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস (বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন) এর সহ-সভাপতি, নবম বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস (বিওজি) এর মেডিক্যাল কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য’র দয়িত্ব পালন করেছেন। আর্মি মেডিক্যাল সার্ভিসের ডাইরেক্টর জেনারেল থাকা কালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চাটমোহরের আলোচিত জোড়া মাথার জমজ সন্তান রোকেয়া-রাবেয়ার সেপারেশন অপারেশনের দায়িত্ব ও পালন করেন তিনি।
সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা লেখালেখিতেও সিদ্ধ হস্ত। “স্বাধীনতা যুদ্ধে আর্মি মেডিকেল কোর”নামক একটি পুস্তক সম্পাদনা করেছেন তিনি। এছাড়া আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ, চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, সিএমএইচ  ঢাকা ও আর্মি ডেন্টাল কোরের প্রকাশিত জার্নালসহ দেশ বিদেশের পত্র পত্রিকায় তার লেখা প্রায় ৫০টিরও অধিক বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ড. মোঃ ফসিউর রহমান বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের এর আজীবন সদস্য। এছাড়া আইসিএমএম, এসসিসিএম, আইসিএমএমএস এর সদস্য। বি.ইউপির সিনেট সদস্যের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। সাংস্কৃতি মনা এই নেতা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ঢাকা মহানগর উত্তরের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ড. মোঃ ফসিউর রহমান। ২০১২ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত “ডব্লিউএইচও”এর হেলথ প্রোগ্রাম, ২০১৭ সালে ব্যাংককে আইসিএমএমএস এর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ গ্রহন করেন। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে সেমিনারে অংশগ্রহণ করে ব্রেইন ইনজুরির উপর একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। ঐ একই সময়ে তিনি ইংল্যান্ডের হাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেফিল্ডহালাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল কলেজ, কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
কর্মক্ষেত্রে ভাল কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে সেনা পারদর্শিতা পদক পান। ২০২০ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরষ্কার এবং একই বছরে সেনা গৌরব পদকও অর্জন করেন তিনি। জাতিসংঘের শান্তি মিশনে অংশ গ্রহন করে সফলতার স্বাক্ষর রাখায় লাইবেরিয়া, সিয়েরালিওন ও মোজাম্বিকে শান্তি রক্ষা পদক পেয়েছেন। এছাড়া আরো অনেক পদক রয়েছে তারঅর্জনের ঝুলিতে। ২০২০ সালে তিনি সুইজারল্যান্ডের ব্যাসলে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব মিলিটারি মেডিসিন কর্তৃক আয়োজিত ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে যোগ দেন এবং দ্বিপাক্ষিক ফলপ্রসু আলোচনা করেন।
বিএনপি জোট সরকারের আমলে ড মোঃ ফসিউর রহমান ও তার অপর দুই ভাইকে প্রায় একই সময়ে পার্বত্য এলাকা খাগড়াছড়িতে পোস্টিং দেয়। কখনো সমতলে কখনোবা পাহাড়ে চাকুরি করেছেন। তাদের তিন ভাইকে একসাথে খাগড়াছড়ি পোস্টিং দেয়ায় সাংবাদিকরা “তিন সহোদর খাগড়াছড়িতে”এ শিরোনামে ওখানকার স্থানীয় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন।
ব্যাক্তি জীবনে ড. ফসিউর রহমান বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সেলিনা বানু এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেড এর ডিজিএম কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স (ঢাকা) এবং টাঙ্গাইলের মধুপুরের এসেনসিয়াল ল্যাটেক্স প্রসেসিং এর প্লান্ট ম্যানেজার ছিলেন। তার স্ত্রীও এখন অবসর জীবন যাপন করছেন। তাদের একমাত্র সন্তান জাওয়াদ মাহমুদ ওয়াফী আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র।
মানবিক এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা অনেক রোগির চিকিৎসা ও হাসপাতালে ভর্তির কাজে সহায়তা করেছেন এবং করে চলেছেন। অনেক মানুষের ছেলে মেয়ের পড়া লেখার ব্যয়ভার বহন করেছেন। বিবাহ, চাকুরী ইত্যাদি ক্ষেত্রেও অনেককে সহায়তা করতে পেরেছেন। তিনি পরীক্ষামূলক এলাকার বেকার ছেলেদের কাউকে কাউকে রিক্সা ও ভ্যান কিনে দেন, তারা প্রত্যেকেই ভাল করছে। দুই একজন ঢাকাতেই প্রথমে রিক্সা, কিছুদিন পরে রিক্সা বিক্রি করে মিশুক, এরপর মিশুক থেকে বেবীট্যাক্সি করে ভালই উন্নতি করে। চাটমোহরের মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজ ও এম.এআউয়াল টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ প্রতিষ্ঠায়ও তার ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদ, এতিম খানাসহ অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সহায়তা করেছেন, এখনও করছেন। রিলিফ কার্যক্রম ও মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে অনেক দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করেছেন। বিভিন্ন সময়ে দিনে রাতে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। ঈদের সময় সাধ্যানুযায়ী গরীব দুস্থ্যদের সহায়তা করেছেন।
অবসর জীবন যাপন কালীন সময়ে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে তিনি এলাকায় গন সংযোগ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা পৌছে দিচ্ছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ এরকম আরো নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর পাশে দাড়িয়েছেন।
আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭০ পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর) এলাকা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. মোঃ ফসিউর রহমান। চাকুরী জীবনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করেছেন তিনি। এখন অবসর জীবনে আরো বেশি কাজ করতে চান। পাবনা-৩ এলাকার জনগন চাইলে এ এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চান তিনি।
সব সময়ই তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত অনুগত। তিনি আশা করেন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দিবেন। ড. মোঃ ফসিউর রহমান মনোনয়ন পেলে এবং পাবনা-৩ এলাকার (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর) মানুষ সহযোগিতা করে তাকে নির্বাচিত করলে এএলাকার উন্নয়নে তিনি দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ। আগামি দিনে তিনি সুখে দুঃখে এ এলাকার মাটি ও মানুষের পাশে থাকতে চান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smarti-ddnnewsbd