পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ জনসাধারণ নিতে চাচ্ছে না। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকর্মীরা বুস্টার ডোজ টিকা দিতে গেলে লোকজন টিকার মেয়াদ জানতে চান। মেয়াদ জানার পরই ঐ টিকা পুশ নিয়ে সৃষ্টি হয় জটিলতা সৃষ্টি হয়।
উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের করতকান্দি গ্রামের এড.সাগর সরোয়ার ও স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান,করোনার বুস্টার ডোজ নিতে গিয়ে তারা দেখেন ফাইজার ওষুধ কোম্পানির কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিনের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা রয়েছে ৩০ নভেম্বর,২০২২। এ কারণে তারা ঐ টিকা গ্রহন করেননি। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্রগুলো থেকেও একই ধরনের খবর পাওয়া গেছে। এমন টিকা গ্রহনে জনসাধারণের আপত্তির কারণে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশিরভাগ লোককেই টিকা প্রদান করতে পারেননি বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট(ইপিআই) মো: আব্দুল করিম বলেন,টিকার মেয়াদোত্তীর্ণের কারণে উপজেলার করতকান্দি গ্রামের কেন্দ্রে কেবল টিকা প্রদান ব্যহত হয়। এই কেন্দ্রে ১৫০জনের টিকা গ্রহনের কথা থাকলেও নিয়েছে মাত্র ১২জন। তবে অন্যান্য কেন্দ্রে সফল ভাবে টিকা পুশ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: হালিমা খানম বলেন,ফাইজারের ভ্যাকসিনের গায়ে মেয়াদ ৩০ নভেম্বর ২০২২ লেখা থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্তবৃদ্ধি করেছেন। ফলে এখন আর সমস্যা নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী (ইপিআই) এর পরিচালক ডা: মো: শামসুল হক স্বাক্ষরিত (২০ নভেম্বর ২২) চিঠিতে ফাইজারের কোভিড-১৯ টিকার মেয়াদ বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।
টিকা গ্রহিতাদের অভিযোগ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এই টিকা পুশ করা হলো না কেন? এছাড়া টিকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার কোম্পানি মেয়াদ বৃদ্ধি করেনি সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিভাবে টিকার মেয়াদ বৃদ্ধি করেন তা বোধগম্য নয়! এমনপ্রশ্নের জবাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: হালিমা খানম বলেন, ১ ডিসেম্বর ২২ ঐ টিকার চালান তাদের হাতে এসে পৌঁছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঙ্গলবার ইউনিয়ন কেন্দ্রে টিকা পুশ করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়।