পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের জায়গার দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পাঁছ বেতুয়ান গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান হয়েছে।
আহতদের মধ্যে মোন্নাফ (৩৫), ইয়াকুব (৪০), সোহাগ (১৭), ইউছুব (৪০), রমজান (৩৫), ফারুক (৩৫), ইউছুফকে (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সমশের (৪০), রবি (৪৫), মকছেদ (৫০) ও সাদ্দামকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর একটি ক্লাবঘর নির্মাণ করা হয়। এরপর ওই ক্লাব নিয়ে এলাকায় দুটি গ্রুপ বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে উভয় গ্রুপের লোকজন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের নালায় (ক্যানেলে) মাটি ফেলে ভরাটের পর বসতবাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণ করেন। এই দখলবাজিকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। সমশের ও নজরুল নামে দুজন দুই গ্রুপে নেতৃত্ব দেন। বিরোধ মেটাতে কয়েক দফায় সালিশি বৈঠকও বসে। কিন্তু এর সমাধান হয়নি। সম্প্রতি তাদের বিরোধ প্রকট আকার ধারণ করে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে তারা দেশীয় অস্ত্র, ইট-পাটকেল, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে সমশের ও নজরুল গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. বৃষ্টি শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকালে জানান, আহতদের মধ্যে সাতজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অপর চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়ার দিলপাশার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. ফয়সাল বিন আহসান বলেন, বাঁধের একটি দোকানের দখলকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় একপক্ষের আইয়ুব আলী বাদী হয়ে অন্যপক্ষের ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পরে পুলিশ রব্বান আলী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সুজন বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।