উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ যৌতুক না পেয়ে পুত্রবধুকে পিটিয়ে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার মূল আসামী শ্বশুর হবিবুর রহমানকে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ সোমবার রাতে আটক করেছে। তাকে উলাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামীরা পালিয়ে গেছে।
এই গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস খাতুনকে যৌতুকের জমি না দেওয়ায় রোববার রাতে হবিবুর রহমান ও তার পরিবারের ৪ সদস্য মিলে বেধড়ক মারপিট করেন। এসময় নার্গিসের চুল কেটে দেওয়া হয়। গুরুতন অবস্থায় নার্গিসকে তার স্বামী উদ্ধার করে সোমবার সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। একই গ্রামের হাজী ইব্রাহিমের মেয়ে উক্ত নার্গিস খাতুনের অভিযোগ, ১০ বছর আগে একই গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে শফিকুলের সঙ্গে প্রেম করে তার বিয়ে হয়। এই বিয়েটি মেনে নিতে পারেনি নার্গিসের শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে নানা অজুহাতে শ্বশুর বাড়িতে নার্গিসকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়ে থাকে। কিছুদিন আগে নার্গিসের স্বামীর বাড়ির পাশে থাকা তার (নার্গিস) বাবার একখন্ড ভিটে শ্বশুর হবিবুর রহমানের নামে লিখে দেওয়ার জন্য নার্গিসের পরিবারে চাপ সৃষ্টি করা হয়। নার্গিসের বাবা অপারগতা প্রকাশ করলে রোববার রাতে শ্বশুর ও তার লোকজন মিলে তাকে অমানুষিক নির্যাতন এবং তার চুল কেটে দেন। এই ঘটনায় শ্বশুরের সঙ্গে অংশ নেন পরিবারের সদস্য শরিফ, জামাল, আম্বিয়া ও ফতে নামের আরো চার জন। বর্তমানে নার্গিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে খবর পেয়ে উলাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার দাশ সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আহত অসুস্থ নার্গিস খাতুনকে সোমবার সন্ধায় দেখতে যান। তিনি নার্গিসের কাছ থেকে তার ঘটনার বিস্তারিত শোনেন।
দীপক কুমার দাশ গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান, নার্গিসের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই তিনি ইতোমেধ্যেই নার্গিসের শ্বশুর হবিবুর রহমানকে আটক করেছেন। অপর আসামীদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।