অনলাইন ডেস্কঃ
বরিশালের গৌরনদীতে গৃহবধূর মাথার চুল কেটে ও নির্যাতন করে কোলের শিশুসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক মাস আগে ঘটনাটি ঘটলেও গত মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, প্রেমের সম্পর্কের জেরে বাপ্পী নামে এক যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই নারী। পরে বাপ্পী তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় বাপ্পীর বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। পরবর্তীতে মামলা থেকে রেহাই পেতে ২০২০ সালের জুন মাসে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বাপ্পীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরইমধ্যে ওই গৃহবধূ একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন।
ভুক্তভোগী জানান, শুরু থেকেই স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করার বিষয়টি কোনোভাবে মেনে নিতে পারছিলেন না তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শাশুড়ি ঝর্ণা বেগম ও বড় জা মিমি আক্তার মিলে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। এক মাস আগে ঘুমের মধ্যে শাশুড়ি ও জা ওই গৃহবধূর মাথার চুল কেটে ফেলেন। এ ছাড়া মারধর করে তাকে বাড়ি থেকে কোলের সন্তানসহ তাড়িয়ে দেন।
এই ঘটনার পর স্বামী বাপ্পীও বাড়ি থেকে আত্মগোপনে যান। ফলে উপায় না পেয়ে ওই গৃহবধূ মামার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে গৃহবধূর শ্বাশুড়ি ও জা নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’