শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় পশু-পাখির হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে চিকিৎসকরা মাঠে ভাঙ্গুড়ায় ভুমি অফিসের অনলাইন কার্যক্রমে হযরানি কমেছে,নামজারি নিষ্পত্তি তরান্বিত ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে ইউএনও ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্রীড়া শিক্ষকের বাড়ি ভষ্মিভুত! ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি ভাঙ্গুড়ায় প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে ক্লাস করছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা ! অস্বস্তিতে ছাত্র-শিক্ষক প্রশংসনীয় উদ্যোগ- ভাঙ্গুড়ায় তাপদাহে পিপাসার্ত মানুষকে আনসার কমান্ডারের পানীয় সেবা অস্বাভাবিক গরমেও খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক ভাঙ্গুড়ায় দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের

সাঁতার কেটে মসজিদে গিয়ে আজান ও নামাজ আদায়, নৌকা পেলেন সেই ইমাম

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৩৭৯ সময় দর্শন
  • Print This Post Print This Post
সাঁতার কেটে মসজিদে গিয়ে আজান ও নামাজ আদায়, নৌকা পেলেন সেই ইমাম

অনলাইন ডেস্ক/

পানিতে ডুবে যাওয়া মসজিদে দৈনিক পাঁচবার সাঁতার কেটে গিয়ে মসজিদে আজান দেন এবং একাই নামাজ আদায় করেন মসজিদের ইমাম সাহেব। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে মসজিদটি প্রায় অর্ধেকই ডুবে আছে পানিতে। তিনি এই জামে মসজিদের ইমাম এবং হাফেজ। তার নাম ইমাম মঈনুর রহমান। ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে এই মসজিদটি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

ভিডিওটি ভাইরাল হবার পরে ইমাম মইনুরকে নৌকা ও নগদ টাকা সহায়তা দিয়েছে ‌‘ডু সামথিং ফাউন্ডেশন’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

তিনি কখনও নৌকা পেলে নৌকায় যান, আবার নৌকা না থাকলে, আজানের সময় হয়ে গেলে, সাঁতরিয়ে মসজিদে যান এবং আজান দিয়ে নামাজ আদায় করে এভাবে সাঁতরিয়েই ফিরে আসেন। আর রাতে মসজিদের ছাদেই থাকেন। কেননা, মসজিদ নদী ভাঙনে চলে যাবে। সম্প্রতি ইমাম সাহেবের সাঁতরিয়ে যাওয়া আসার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মানবিক সংগঠন হিউম্যানিটি ফার্স্টের অ্যাডমিন ও প্রভাষক ইদ্রিস আলী ভিডিওটি ধারণ করে ফেসবুকে দেন, এরপরে হু হু করে তা ছড়িয়ে পড়ে।

ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রায় চারমাস অতিবাহিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই ফের ইয়াসের আঘাত। সর্বশেষ ১০ সেপ্টেম্বর খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে প্রতাপনগর গ্রামের মানিক হাওলাদারের বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদের পাশের বিকল্প রিং বাঁধ ভেঙে ফের প্লাবিত হয় প্রতাপনগর, তালতলা, মাদারবাড়িয়া, কুড়িকাহনিয়া ও কল্যাণপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতিদিন দুপুরে ও রাতের জোয়ারে নিয়ম করে পানিতে ভাসছে ওই পাঁচ গ্রামের মানুষ।

ইমাম মইনুর বলেন, সম্প্রতি নদী ভাঙন এবং পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদটি নদীর অনেকটাই ভেতরে চলে গেছে। মুসল্লিরা এখন আর সেখানে যেতে পারেন না। তবে আমি প্রতিদিনই এখানে আজান দিই। রাতে ঘুমাই মসজিদেই।

ইমাম মঈনুর রহমান আরও জানান, এরই মধ্যে তার নিজ বসতভিটাও চলে গেছে পানির নিচে। তাই পরিবার নিয়ে অন্য স্থানে বসবাস শুরু করেছেন। তবে এই মসজিদটিকে কখনও পরিত্যাক্তভাবে পড়ে থাকতে দেন না তিনি। নদীতে জোয়ার এলেই সাঁতরে মসজিদে যেতে হয় ইমাম হাফেজ মইনুর রহমানকে। সম্প্রতি তার এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাকে নৌকা ও নগদ টাকা সহায়তা দিয়েছে ‌‘ডু সামথিং ফাউন্ডেশন’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd