দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে প্রস্তুতি চলছে। এরই অংশ হিসেবে সাত দিনের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পাঠদানের উপযোগী করতে প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক খোলার পরিবেশ তৈরি করতে মাউশি থেকে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, প্রাথমিকের সব শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সহকারী উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারদের এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা যদি সমস্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন না করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খোলা যাবে। এজন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ২১ আগস্ট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে হবে। ওয়ার্কশীট বিতরণ শতভাগ নিশ্চিতকরণ ও যাচাই করতে হবে। শিখন ঘাটতির অবস্থা ও ফিডব্যাক নিতে হবে। বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষকদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। হোম ভিজিট যাচাই করা। শিক্ষার্থী প্রোফাইল শতভাগ হয়েছে কিনা তা দেখা। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় নির্ধারণ করা। স্যাম্পল হিসেবে শিক্ষার্থীর বাড়ি যাওয়া এবং শিক্ষার্থী যোগাযোগ রেজিস্ট্রার যাচাই করা।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক ঠিক করার জন্য দ্রুত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।