তিনি বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আমার টাকা-পয়সার লেনদেন নেই। সম্পদের লেনদেন নেই। হৃদয়ের লেনদেন আছে। হেলেনা জাহাঙ্গীর লাস্ট কালকেও আমাকে বলেছে, দাদা আই লাভ ইউ। আমি বলেছি লাভ ইউ টু। কারণ লাভ ইজ পাওয়ার। আপনারা জানেন ভালোবাসা আমার আদর্শ।
এসময় লাভ ইজ পাওয়ার লেখা সম্বলিত এবং তার ছবি সংযুক্ত টি-শার্ট দেখিয়ে বলেন, ‘হাজার হাজার লোক এই টি-শার্ট কিনছে।’
সেফুদা বলেন, ‘আই লাভ হেলেনা জাহাঙ্গীর। হোয়াই নট, হোয়াই আই সুড নট লাভ হেলেনা জাহাঙ্গীর?’ এরপর অবশ্য তিনি বলেন, ‘হু ইজ হেলেনা জাহাঙ্গীর? আই ডোন্ট নো, আই ডোন্ট নিড টু নো।’
এরপরই তিনি আবার বলেন, ‘অনলাইনে গত প্রায় তিন বছরের কম সময় ধরে আমি তাকে চিনি। মানে আমাকে সে আবিষ্কার করেছে।’
সেফুদা বলেন, ‘হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের সময় চেহারায় কোনো অনুতাপ নেই (ছিল না)। অনুতাপ থাকবে কেন? তিনি কঠোর পরিশ্রমী একজন শিল্পউদ্যোক্তা। নিজের পরিশ্রমের ফসল আজ তার কোটি কোটি টাকা, অনেকগুলো শিল্প, অনেক বাড়ি-গাড়ির মালিক। তিনি সমাজের ওপর স্তরের মানুষ। টাকা-পয়সা না থাকলে তার কোনো দাম নেই।’
নিজেকে অনেক ধনী দাবি করে সেফুদা এসময় বলেন, ‘আমার ছেলে স্বপ্নীল আমাকে অনেক সময় বলে আব্বু আপনি যত বড় স্কলারই হোন না কেন, আপনার চেয়ে বড় দার্শনিক, বড় স্কলার পৃথিবীতে নেই। কিন্তু আপনার পকেটের টাকা নাই, তাই আপনাকে কেউ সম্মান করে না। আমি বলেছি, তারা বেকুব। তারা মূর্খ। তারা অশিক্ষিত বর্বর। যারা সম্পদকে সম্মান করে, টাকাকে সম্মান করে, তারা অশিক্ষিত-বর্বর-মূর্খ। ওদের জন্যই পৃথিবীতে অশান্তি, পৃথিবীটা নরকের মতো হয়ে যায়। কথা বোঝা গেছে?’
এর আগে গতকাল এক ভিডিওতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মুক্তি দাবি করেন সেফুদা। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের দেখা হয়নি। তবে টেলিফোনে কথা হতো। হেলেনা জাহাঙ্গীর একজন স্মার্ট নারী, তিনি দুঃসাহসের সঙ্গে কথা বলতেন। অবিলম্বে এবং সম্মানের সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দিতে হবে।’
গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ১২টার দিকে গুলশানের ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসায় দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, চাকু, বৈদেশিক মুদ্রা, ক্যাসিনো সরঞ্জাম ও হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন আইপি টেলিভিশন জয়যাত্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলাও হয়েছে।