সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মাইকিং করে এবং বাড়ি বাড়ি গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে জনসমাগম করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান শ্রী অশোক কুমার ঘোষ প্রনোর বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার (০৭এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে কয়েক শতাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,এলাকা থেকে ৮৫ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় চেয়ারম্যান নিজেকে বাচাতে মাইকিং করে সুফলভোগী কার্ডধারীদের ডেকে এনে জনসমাগম করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিষদ চত্বরে নয়টি ওয়ার্ডের তিনশত ২৬জন কার্ডধারী সুফলভোগীসহ প্রায় পাঁচশত নারী-পুরুষ সেখানে সমবেত হয়েছে। সেখানে ছিল না কোন সামাজিক দূরত্ব। আবার বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক ছিল না।
হাট উধুনিয়া,বেতুয়ান,পাটুল ও কাজীটোল গ্রাম থেকে আসা কার্ডধারী সুফলভোগীরা বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান আমাদের বাড়িতে চৌকিদার পাঠিয়ে সবাইকে কার্ড সঙ্গে করে সকাল ৯টার মধ্যে পরিষদে আসতে বলেছে, তাই এসেছি।
মাইকিং করে মানুষের সমাগম করার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান শ্রী অশোক কুমার ঘোষ প্রনো বলেন,আজ তদন্ত কমিটির আসার কথা, তাই কার্ডধারীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরিষদে আসতে বলেছি।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কাওছার হাবীব বলেন, তদন্তের বিষয়ে সেখানে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পৌঁছেই অনেক লোকের সমাগম দেখতে পেয়ে সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,কেউ আমাকে বিষয়টি জানায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন,সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কেউ যদি জনসমাগম করে থাকে তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে দিলপাশার ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের রফিজ মন্ডলের ছেলে খোকন ও হাটউধুনিয়া গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে বাবুল আক্তার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৮৫ বস্তা সরকারি চাল ক্রয় করেন।
পরে বস্তা পরিবর্তন করে একটি ট্রলিতে লোড দিয়ে হাটঊধুনিয়া বাজারে নিয়ে যাওয়ার পথে লোকজন বাধা দেন। উপায় না দেখে ট্রলির চালক চালের বস্তাগুলো শ্মশান ঘাটের নিকট রাস্তার উপর ফেলে রেখে সটকে পড়েন।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় দিলপাশার গ্রামের শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে থানা পুলিশ চালগুলো উদ্ধার করে। পরে উপজেলা প্রশাসন ৫ সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
চালচুরীর ঘটনা সত্য,চেয়ারম্যান তার ভাই এটা ধীর্ঘদিন যাবত এ কাজটি করেন,এখন ঘটনা ধামাচাপা দিতে নানা কৌশল নিচ্ছে।