বিশেষ প্রতিনিধিঃ স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে বসল ৩৯তম স্প্যান ‘টু-ডি’। এতে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১০ ও ১১ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয় স্প্যানটি। এটি বসানোর পর আর মাত্র দুটি স্প্যান বসানো বাকি রয়েছে, যার দৈর্ঘ্য হবে ৩০০ মিটার। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান। ক্রেন ‘তিয়াইন-ই’ ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৩৯তম স্প্যানটি নিয়ে রওনা হয় নির্দিষ্ট পিয়ার দুটির উদ্দেশ্যে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্ধারিত পিয়ার দুটির কাছে পৌঁছে স্প্যানবাহী ক্রেন। পরবর্তী প্রক্রিয়ায় নোঙর ও কারিগরি কাজ শেষ করতে সময় লাগে আরও তিন ঘণ্টা। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে নির্ধারিত পিয়ার দুটির ওপরে ভূমিকম্প সহনশীল বিয়ারিংয়ে স্প্যানটি বসানো সম্পন্ন হয়।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বরেই ১১ ও ১২নং পিয়ারে ৪০তম স্প্যান ‘টু-ই’ ও ১২ ও ১৩নং পিয়ারে ৪১তম স্প্যান ‘ই-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে সেতুতে ১ হাজার ৮৪৮টি রেলওয়ে ও ১ হাজার ২৩৮টি রোডওয়ে সাব বসানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ৪২টি পিয়ারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে।