সনদসর্বস্ব শিক্ষা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গতানুগতিক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা শিক্ষাব্যবস্থায় আনন্দ নিয়ে আসতে চাই। সংখ্যায় নয়, শিক্ষায় গুণে ও মানের দিকে নজর দিতে হবে। গতকাল দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের
(যবিপ্রবি) শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভায় দীপু মনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি যবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেইসঙ্গে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ^বিদ্যালয়ের ডা. এমআর খান মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে একটি কৃষ্ণচূড়ার বৃক্ষ রোপণ করেন।
আলোচনাসভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আধুনিক শ্রম বাজারে ক্রমেই প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও নির্দেশনায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এ কাজগুলোর জন্য গতানুগতিক চিন্তা বা শিক্ষাব্যবস্থায় হবে না। সব জায়গায় আমাদের একটু ‘আউট অব বক্স’ চিন্তা করতে হবে। সে জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা শুধু পড়াশোনা করছি, পরীক্ষা দিচ্ছি, সনদ নিচ্ছি। এমনিতেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা পরীক্ষানির্ভর এবং সনদসর্বস্ব। একই সঙ্গে আনন্দহীন। সেটি প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ^বিদ্যালয় পর্যন্ত। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষাব্যবস্থায় আনন্দ নিয়ে আসতে চাই। আনন্দ নিয়ে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করবে। এ সময় শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বৈশি^ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেন, বিশে^ যোগ্যতায় টিকে থাকার একমাত্র মানদ- শিক্ষা। সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, প্রযুক্তি হলো উন্নয়নের বাহন। কাজেই নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দিকে মনোযোগী হতে হবে। শুধু উদ্ভাবন করলেই হবে না, এটির যেন সঠিক প্রয়োগ হয়, সে বিষয়টিও আমাদের দেখতে হবে।