বিড়ি শিল্প রক্ষার্থে বিড়ি শ্রমিকদের ৬ দফা দাবি নিয়ে মহা সমাবেশ করেছে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুুুরে বন্ধন কমিউনিটি সেন্টার মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়ন সভাপতি মো: হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মো: শামীম ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, পাবনা-১ সংসদ সদস্য এ্যাড. শামসুল হক টুকু, সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন পাবনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. বেলায়েত হোসেন বিল্লু, আরও বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন সভাপতি এম. কে বাঙ্গালী, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন ও কার্যকারী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, পাবনা বিড়ি শ্রমিক শিল্প মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) প্রদীপ সাহা সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বক্তরা বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেটে ধার্যকৃত অতিরিক্ত ৪ টাকা প্যাকেট মূল্যস্তর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে, বিড়ি শ্রমিকদের সপ্তাহে ৬ দিন কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে,বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে, তাছাড়া বিড়ির উপর অর্পিত ১০% অগ্রিম আয় কর প্রত্যাহার করা সহ বঙ্গবন্ধু চালুকৃত বিড়িকে কুঠির শিল্প হিসেবে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধুর সময়ে বিড়িতে ট্যাক্স ছিল না, তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়েও আমরা আশাকরি তিনি ট্যাক্স রাখবেন না। বক্তারা আরও বলেন এই বিড়ি শিল্পে নদী ভাঙ্গন চর এলাকার অসহায় বিধবা স্বামী পরিত্যক্তা পঙ্গু শ্রমিকরা কাজ করে থাকে, বিড়িতে অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিকল্প কোন কাজ না পেয়ে তারা আজ বেকার জীবন যাপন করছে।
আরও বলেন বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া বিড়ি শিল্প বন্ধ করা যাবে না। বৃটিশ কোম্পানি সাথে রাজস্ব বোর্ডের অংশীদারত্ব রাখা যাবে না। বক্তারা বলেন যেদিন থেকে সিগারেট বন্ধ হবে, সেদিন থেকে বিড়ি শিল্প বন্ধ হবে, তার আগে বিড়ি শিল্প বন্ধ করা যাবে না। গরীব, দুঃখী, অসহায় মেহনতী মানুষের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের ৬ দফা দাবি সমূহ পৌছানোর জন্য আমাদের বিড়ি শ্রমিকদের আজকের এই সমাবেশ।