গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে মুলতবি সভায় বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার—আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ—এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিনভর বৈঠকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালার খসড়া ২০২৫ চূড়ান্ত করা হলেও আরপিও সংশোধনী নিয়ে আলোচনা শেষ হয়নি। সেই আলোচনার ধারাবাহিকতায় সোমবারের এই সভায় সংশোধন অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। সংশোধনীতে নির্বাচন বন্ধে ইসির ক্ষমতা বাড়ানো এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব থাকতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশনের দায়িত্বশীল সূত্র।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আরপিও সংশোধনী প্রস্তাবে প্রায় তিন ডজন পরিবর্তন থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের সুযোগ যুক্ত করা, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণবিধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পর্কিত অপব্যবহার রোধে বিধিনিষেধ সংযোজন এবং সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন। এছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দলগুলোর সম্মত প্রস্তাবনাও সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
সোমবারের বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দল ও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানার খসড়া নিয়ে আপত্তি নিষ্পত্তি এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক।
আইনি সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিশনে চূড়ান্ত হওয়ার পর তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। পরে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে সরকারের সম্মতিতে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
সূত্র: এফএনএস।