পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বিএলবাড়ী ইউনিয়নের পুরন্দরপুর গ্রাম থেকে জন্তিহার গ্রাম পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই রাস্তার পাশে ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে এই রাস্তায় চলাচলকারী হাজারো মানুষ।
রাস্তাটি পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হলেও এটি গিয়ে পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ উপজেলার উল্লাপাড়া থানার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে এটি উভয় জেলার এবং উল্লেখিত উপজেলা গুলোর অন্তত দশটি গ্রামের নিয়মিত চলাচলের রাস্তা। হাজারো মানুষ এই রাস্তায় নিয়মিত চলে। চলে শত শত যানবাহন। অন্তত ৮ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত এই রাস্তাটি ব্যবহার করে।
এই রাস্তায় চলাচলকারী অটো ভ্যানচালক আল মামুন বলেন, “ভাঙ্গা জায়গা দিয়ে গাড়ি চালাতে ভয় লাগে। মনে হয় গাড়ি উল্টে যাবে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে।”
জন্তিহার গ্রামের বাসিন্দা বি এল বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম আবু যুবাইর হেলাল বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ এই রাস্তাটি উপজেলা সদরের সাথে আমাদের চলাচলের একমাত্র পথ। সাধারণ মানুষ ভীষণ কষ্ট করছে রাস্তাটির জন্য। আমরা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা দ্রুতই পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে এলজিইডির অধীনে ২১০০ মিটার দীর্ঘ এই রাস্তাটি আরসিসি ঢালাই করে নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই রাস্তার জন্তিহার গ্রামের মধ্যের অংশেই অন্তত দশটি জায়গায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা গিয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকা হওয়ায় এবং এই রাস্তার বিভিন্ন অংশের পাশে খাল বা পুকুর থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাঙনের কারণ হয়েছে রাস্তার নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়া। এছাড়াও এই রাস্তার মাঝখানে গুমানি নদীর উপর একটি ব্রিজ আছে। এই ব্রিজের সংযোগস্থলেও ব্যাপক ভাঙ্গনের কারণে প্রচন্ড ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল।
এ বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ইনকিলাবকে জানানো হয়, “আমরা বিষয়টা সম্পর্কে অবগত। এর মধ্যেই আমরা রাস্তাটি সংস্কারের প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছি। আশা করি খুব দ্রুতই টেন্ডার এর মাধ্যমে রাস্তার কাজ শুরু করা যাবে।”
জন দুর্ভোগের কথা মাথায় নিয়ে সরকার খুব দ্রুতই এই রাস্তাটির সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা নেবে-এমনই আকাঙ্ক্ষা স্থানীয় জনগণের। পাশাপাশি এই সড়ক টিকিয়ে রাখতে সড়কের পার্শ্ববর্তী খাল বা পুকুর গুলোর দিকে নজর দিয়ে ‘পাড়-শাসনের’ দাবি তাদের।
সুত্রঃ জনকণ্ঠ
(এনএইচ)