একটি দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক উত্তেজনার পর বিএনপির নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন আপাতত তার সমর্থকদের বিক্ষোভ-আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। সরকারের তরফ থেকে নির্ধারিত সময়ে আদালতের রায় বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলন আবার শুরু হবে বলে ইশরাক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এ কথা ঘোষণা করেন তিনি বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে কাকরাইল মোড়ে, যেখানে তার সমর্থকরা বুধবার (২১ মে) সকাল থেকে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করানোর দাবিতে অবস্থান ও বিক্ষোভ করছিলেন। দীর্ঘ রাতের অবস্থান শেষে আজ দুপুরেও সেখানে নানা ধরনের স্লোগানে ভরে ছিল পরিবেশ। তারা প্রধানত দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং নির্বাচিত মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানের দাবিতে স্লোগান দেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, “আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই আশা রাখছি বর্তমান সরকার দ্রুত আদালতের রায় বাস্তবায়ন করবে। যদি তারা পুনরায় টালবাহানা বা কালক্ষেপণ করে, তাহলে আগামীকাল সকালেই আমরা আবার এখানে সমাবেশ করব।” তিনি আরও জানান, “সরকারের দুইজন উপদেষ্টার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন শেষ হবে না। আমরা চাই সরকার পুনর্বিন্যস্ত হোক এবং আমাদের দাবি বাস্তবায়িত হোক।”
এর আগে, বুধবার সকাল থেকে সমর্থকরা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করানোর দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন “যমুনারে যমুনা আমরা কিন্তু যাব না,” “দফা এক দাবি এক নির্বাচিত সরকার” এবং “শপথ ছাড়া যাব না।” আন্দোলনের কারণে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, যার জন্য ইশরাক জনসাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের এই কর্মসূচির ফলে সড়কে যানজট ও জনগণের দুর্ভোগ হয়েছে, এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তবে বর্তমান সরকার আমাদের অধিকার বঞ্চিত করতে গিয়ে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে, যা আমাদের বাধ্য করেছে এই কর্মসূচিতে নামতে।”
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবরোধ ও বিক্ষোভ চলাকালীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় ছাত্রদলেরও সড়ক অবরোধ ছিল। তবে বিকেল পাঁচটায় তাদের কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দেয়া হয়।
সূত্র: এফ্এনএস