1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ন

কারখানা বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
  • ১৩ সময় দর্শন

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে টানা ২১ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে কুষ্টিয়ায় বিএটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা (গ্রিন লিফ থ্রেশিং প্ল্যান্ট–জিএলটিপি)। উন্মুক্ত আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে কারখানা চালুর ক্ষেত্রে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার সাধারণ তামাক চাষিরা আজ বুধবার মানববন্ধন করেছেন।
কুষ্টিয়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার কৃষক বিএটিবি’র সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে জমিতে তামাক চাষ করেছেন। কিন্তু তামাক মৌসুম শুরু হয়ে গেলেও, বন্ধ রয়েছে কারখানার কার্যক্রম। ফলে, নিজেদের উৎপাদিত তামাক নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। সঠিক সময়ে তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাত করা না গেলে পাতার গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাবে। তখন আর কৃষকেরা এ পাতা বিক্রি করতে পারবেন না, যা তাদের ভয়াবহ আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলবে।

আজ (বুধবার) দুপুর থেকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শেহালা বটতলা মোড়, মিরপুর উপজেলার জিয়া রোড ও তালবাড়িয়ার গোবিন্দপুর রোড, মেহেরপুরের চকশ্যামনগর এবং ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তামাক চাষিরা৷
মিরপুরে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, আর কোনো উপায় না পেয়ে, আমরা এ মানববন্ধন আয়োজন করেছি। আমরা যদি আমাদের ফসল বিক্রি করতে না পারি, তাহলে বছরের বাকিটা সময় আমাদের আধপেটা থাকতে হবে। কারখানা চালু করতে আমরা প্রশাসনের সাহায্য চাই।

বিকেল ৩টায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কয়েক শ কৃষক অংশ নেন। কৃষক দিদার আলী বলেন, আমরা মৌসুমে চুক্তি নিয়ে কাজ করি। এতদিন জমিতে আমরা শ্রম, সময় ও অর্থ বিনিয়োগ করেছি। আমাদের অনেককেই ঋণও নিতে হয়েছে। এখন যদি এ তামাক বিক্রি করতে না পাড়ি, তাহলে আমাদের গিয়ে পথে বসতে হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সমাধান চাই।
মানববন্ধন আয়োজনের আগে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছিলেন জীবিকার সংকটে পড়া কৃষকেরা। যেখানে তারা উল্লেখ করেন, কতিপয় শ্রমিকের আন্দোলনের জন্য কোম্পানির তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণের ফ্যাক্টরি চালু হতে বিলম্বিত হচ্ছে। এর ফলে তামাক বিক্রয় বন্ধ হয়ে গেলে বা ধীরগতির সম্মুখীন হলে আমাদের উৎপাদিত তামাকের গুণগতমান নষ্ট হয়ে গেলে বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো।

উল্লেখ্য, মৌসুমি শ্রমিকদের দাবির ভিত্তিতে শুরু হয় আন্দোলন, যার প্রেক্ষিতে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় বিএটি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। তবে বেশিরভাগ দাবি মেনে নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও স্বার্থান্বেষী মহল শ্রমিকদের অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। এমনকি আন্দোলনে অংশ নিতে না চাওয়া শ্রমিকদেরও বাধ্য করা হচ্ছে আন্দোলনে যোগ দিতে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host