বছরের শুরুতে সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বছরের শুরুতে আলোচনা শুরু হয়েছিল। তবে পরে সে আলোচনায় ভাটা পড়ে। এখন আবার মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছর অর্থাৎ জুলাই থেকে আসতে পারে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘভাতার ঘোষণা।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা কার্যকরের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। সে অনুযায়ী উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন কমিটি গঠনের পরও ভাতা চালু না করায় প্রশাসনের ভেতরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী, ১ থেকে ৯ নম্বর গ্রেডের কর্মীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং বাকিসব গ্রেডের জন্য ২০ শতাংশ হারে ভাতা চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত খরচ হবে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। তবে ১ থেকে ৯ গ্রেডের ভাতা ১৫ শতাংশে বাড়ালে মোট ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
সূত্র জানিয়েছে, মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আগামী ২০ মে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করতে অর্থ বিভাগের ভেতরে কাজ চলছে। প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি পেলে এই মহার্ঘভাতার সিদ্ধান্ত বাজেট বক্তৃতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখনই এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠক হবে, যেখানে তিনিই জনপ্রশাসন-সংক্রান্ত কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন।’
কিন্তু সংকটকালীন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ উদ্যোগের সামালোচনা করেন অর্থনীতিবিদরা। তখন সরে এলেও এখন নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ছিল ৮২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত সরকারের আমলে বৈষম্যের শিকার চাকরিজীবীদের কয়েক দফায় পদোন্নতি দেওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়ে ৮৪ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।
সূত্র: ইত্তেফাক