রাজধানীর শাহবাগে গত ১১ মার্চ ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ১২ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা দায়ের ও ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খানকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার রাতে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান তিনি। তার পক্ষে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, নারী নিপীড়ন, হয়রানি, ধর্ষণের ঘটনা সারাদেশে ঘটে চলেছে যা উদ্বেগজনক। যারা এই ধর্ষণ নির্যাতন নিপীড়ন এর বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালিয়ে, পরবর্তীতে ১২ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এবং গভীর রাতে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডকে তার নিজের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টাকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
মহাসচিব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে যারা সচেতনতা তৈরি করছেন তাদেরকে সহযোগিতা না করে হয়রানি করা অন্যায়।
মির্জা ফখরুল প্রত্যাশা করেন সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন এবং হয়রানি থেকে বিরত থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে গণপদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদানে বাধা দেওয়া নিয়ে গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের সংর্ঘষ হয়। সংঘর্ষের এই ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে ভাইরাল হয়। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়, ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার নামে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন, উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের মাধ্যমে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরের দিন বুধবার পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়। রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এই মামলায় আসামি হিসেবে বামপন্থী কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের ১২ জন নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সূত্র: আমার দেশ