রাজশাহীর বাঘায় নেই সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। ৫ আগষ্টের পর থেকে তারা এলাকায় নেই। ৬ মাস থেকে তারা এলাকায় কোন সামাজিক কাজে দেখা যাচ্ছেনা। এরমধ্যে বাঘা উপজেলায় ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে তারা এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।
জানা গেছে, ৫ আগষ্টের পর এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাঘা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি শাহিরয়ার আলম এমপি, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু, বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আ.লীগের সদস্য আক্কাছ আলী, আড়ানী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আড়ানী পৌর আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার আলী, আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ তুফান, গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ।
এরা নিয়োমিত অফিস না করায় তাদের অপসারণ করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, ২০২৪ সালে ৭ জানুয়ারী রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাঘা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি শাহিরয়ার আলম এমপি পদে নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের ৫ জুন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু, ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাঘা পৌরসভার নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্কাছ আলী, ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারী আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার আলী মেয়র নির্বাচিত হন।
এছাড়া ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম, মেরাজুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ তুফান, সাইফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তারা যথারিতি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এমধ্যে ৫ আগষ্টের পর সকলে এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। এ বিষয়ে তাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এ দিকে তাদের অবসারণের পর উপজেলা পরিষদ ও বাঘা পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার। আড়ানী পৌরসভা, আড়ানী ইউনিয়ন ও বাউসা ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবিহা সুলতানা, বাজুবাঘা ইউনিয়নে বাঘা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম, গড়গড়ি ইউনিয়নে বাঘা প্রোগ্রামার সহকারী এস এম জি আজম, পাকুড়িয়া ইউনিয়নে উপজেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মনসুর আলী, মনিগ্রাম ইউনিয়নে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাক্তার আমিনুল ইসলাম।