চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সহিংসতার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৪ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। কারাগার থেকে এই জামিন চেয়েছিলেন তারা। বুধবার সকালে মহানগর ৬ষ্ট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এই জামিন চান তারা।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী মো. রায়হান ওয়াজেদ আমার দেশকে বলেন, চিন্ময় ইস্যুর ঘটনায় পাঁচটি মামলা হয়েছে ইতিমধ্যে। এ ঘটনায় চিম্ময়ের ৬৩ জন আইনজীবী জামিন পেয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় ওই ৪ আসামি জামিন চান। যদিও আদালত জামিন দেননি। তবে প্রশাসন এখনো বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এই জন্য নিহতের পরিবার ও তার সহকর্মীরা খুবই হতাশ।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সনাতনী সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়। সেদিন সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনার চার দিন বাদে আলিফের ভাই খানে আলম চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন। ভাঙচুর, বিস্ফোরণ ও জনসাধারণের উপর হামলার অভিযোগে করা ওই মামলায় ১১৬ জনকে আসামি করা হয়।
আলিফ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো মোট ১৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সূত্র: আমার দেশ