বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের পাঁচটি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ভারতের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। বিজিবি এবং স্থানীয় জনগণের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত ওইসব স্থানে বেড়া নির্মাণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাটের তিন বিঘা করিডোর, নওগাঁর পত্নীতলা ও অন্যান্য সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিজিবি এবং স্থানীয় জনগণ তাদের শক্ত অবস্থানের কারণে কাজটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।” তিনি আরও জানান, বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কূটনৈতিকভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে ১৯৭২ সালের ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি এবং ১৯৭৫ সালে প্রণীত নীতিমালার আওতায় শূন্যরেখা ১৫০ গজের মধ্যে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করা যাবে না এবং একে অপরের সম্মতি ছাড়া সীমান্তে কোনো নির্মাণ কাজ করা নিষেধ। তিনি বলেন, ভারত ইতিমধ্যেই ৩,২৭১ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে, কিন্তু বাকি ৮৮৫ কিলোমিটার স্থানে বেড়া নির্মাণ হয়নি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিতর্কিত সীমান্ত চুক্তি বাতিলের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন এবং জানান, ফেব্রুয়ারিতে বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে ডিজি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, “সীমান্তে যেকোনো বিরূপ পরিস্থিতি এড়াতে বিজিবি এবং জনগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় হাইকমিশনকে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিবাদ জানাবে।”
এছাড়া, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণ কাজের বিষয়ে একে অপরের সম্মতির বাধ্যবাধকতা থাকলেও আগের সরকার কিছু অসম চুক্তি দিয়ে ভারতের কিছু জায়গায় কাজের অনুমতি দিয়েছিল। এই কারণে কিছু এলাকায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু বিজিবি এবং জনগণের দৃঢ় অবস্থানকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের শক্ত অবস্থানের ফলস্বরূপ ভারত পিছু হটেছে।”
সূত্র: এফএনএস