স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ সোমবার রাজধানীতে সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বললেন, সংসদীয় পদ্ধতিতে যাতে সব নির্বাচন হয় সেই প্রস্তাব দেওয়া হবে। এই উদ্দেশ্যে আমরা একটা একীভূত আইন করতে চাই। এ ছাড়া বর্তমানে পৌরসভারগুলোর আয় নেই, বেশিরভাগের বেতন বাকি আছে। তাই পৌরসভাগুলোকেও বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হবে।
তোফায়েল আহমেদ আরও যোগ করে বলেন, জেলা পরিষদগুলোর সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এর বাজেট বা প্রজেক্টগুলোর কোনো হিসাব পাওয়া যায় না। তাই একে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে জেলা পরিষদের নির্বাচন ব্যবস্থা পরিবর্তন দরকার রয়েছে। আমরা চাই জেলার আন্ডারে যতগুলো উপজেলা আছে, সেই উপজেলাগুলো থেকে মেম্বার নির্বাচিত হবে। এ ছাড়া জেলা প্লানিং একটি নামে সংস্থা হবে। তারা সব উন্নয়ন প্ল্যান এবং বাস্তবায়নের দিকটা দেখবে। এভাবে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি।
তিনি বলেন, সংসদসহ সব নির্বাচন একসঙ্গে হলে মোট খরচ এক হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে। আমরা সেই প্রস্তাবই দিবো। আগামী শেষ সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাবগুলো সরকারকে দিতে চাই।
সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত লোকাল গভর্নমেন্টের ইলেকশনে খরচ হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। সমন্বিতভাবে এই নির্বাচন করা হলে খরচ ৬০০ কোটি টাকার নিচে নেমে আসত।
স্থানীয় কাজে এমপিদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সংবিধান সংস্কার কমিশন দেখছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে ওখানে আমাদের সাজেশন এমপিরা যেন লোকাল গভর্নমেন্টের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ না রাখে।
এসময় তিনি আরও যোগ করেন, লোকাল গভর্নমেন্টের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় সরকারের আয় বাড়ানো, ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে আরও কার্যকর করতে জনগণের পরিমাণের ভিত্তিতে ওয়ার্ডগুলোকে ভাগ করা, লোকাল গভর্মেন্টকে ওয়ান ইউনিট করা, মামলা কমাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা বাড়ানো এবং সালিশ সিস্টেমকে আরও লিগালাইজ করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।