ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের বিরুপ আচরণে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এখানকার দাতা-গ্রহিতা। দলিল সম্পাদনের সময় তিনি প্রায় সকলের সাথে দুর্ব্যবহার করেন বলে একাধিক দাতা-গ্রহিতা জানিয়েছেন।
উপজেলার অষ্টমণিষা ইউনিয়নের রুপসী গ্রামের দৌলত হোসেন জানান,তার চাচাতো ভাই বোনের নিকট থেকে ক্রয়কৃত একটি জমি নিবন্ধনের জন্য গত বুধবার সাব-রেজিস্টারের এজলাসে উপস্থিত হলে তিনি অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন। এতে দাতারা অপমান বোধ করেন। ঢাকা থেকে আসা মিজানুর রহমান নামের এক দাতা বলেন,সম্প্রতি তোলা ফটো দলিলে লাগানোর পর সাবরেজিস্টার তা ছুঁড়ে ফেলে দেন এবং তাদের এজলাস থেকে বের করে দিয়ে নতুন করে ফটো তুলে আবার লাগিয়ে দিতে বলেন। অথচ ঐসব ব্যক্তিরা উচ্চ শিক্ষিত ও সম্মানীয় হিসাবে পরিচিত।
সরকারি চাকরিজীবী একজন মহিলা দাতা বলেন,সাবরেজিস্টার অপ্রাসঙ্গিক ভাবে বয়স জানতে চেয়ে তাচ্ছিল্য করেন। এজলাসে বসে এমন আচরণ তার শোভা পায়না। এছাড়া তার আচরণে মনে হয়েছে দাতা-গ্রহিতারা যেন আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন! তিনি আরো বলেন,ঐ সাবরেজিস্টার সেবা ও সদাচরণের পরিবর্তে দাতা-গ্রহিতাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা তার কর্তব্য মনে করছেন ! যা সরকারি সার্ভিস রুলের সম্পুর্ণ পরিপন্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেকক বলেন বর্তমান সাবরেজিস্টারের দুর্ব্যবহারে তারা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সময় সকলের সাথে অসদাচরণ করেন। সিনিয়র এক দলিল লেখক বলেন,সাবরেজিস্টারের আচরণে সমস্যা আছে। কারণ পারিবারিক ভাবে তিনি বোধহয় বিনয়ী হতে শেখেননি।
এই অফিসে আসা অনেক দাতা গ্রহিতার সাথে আলাপে জানাগেছে,পুর্বে সেমস্ত সাবরেজিস্টার এখানে কাজ করেছেন তারা খুবই ভদ্র ছিলেন। সেতুলনায় বর্তমান অফিসারের আচরণ সম্পুর্ণ উল্টো। তারা আরো বলেন,ভাঙ্গুড়ার ইএনও মহোদয় এবং এসিল্যান্ড মহোদয়সহ সকল কর্মকর্তাকে সকলেই শ্রদ্ধা করেন। তাদের ব্যবহারে এখানকার প্রতিটি মানুষ মুগ্ধ। তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময়ও কারো সাথে অসদাচরণ করেননা।
এ ব্যাপারে সাবরেজিস্টার মুদাচ্ছির হাসান বলেন,তিনি কারো সাথেই অশোভন আচরণ করেননি তবে নিয়মের মধ্যে কাজ করতে বলায় অনেকেই অসন্তোষ্ট হতে পারেন।