ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অটোপাস করা এসএসসি,এইচএসসি,দাখিল,আলিম ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফেরত পাবে তাদের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় জমা দেওয়া অর্থের কেন্দ্র ও বোর্ড ফি।
এই উপজেলায় গত এসএসসি ও এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য যে সব শিক্ষার্থী ফরম পুরণ করেছিল করোনার কারণে শিক্ষা বোর্ডগুলো সারা দেশের ন্যায় তাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠান করতে পারেনি। ফলে সরকার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তাদের অটো পাস ঘোষনা করে।
অথচ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী ফরম পূরণের সময় নির্ধারিত কেন্দ্র ও বোর্ড ফি প্রদান করেছিল। এই অর্থ প্রশ্ন পত্র প্রনয়ণ,খাতা তৈরি,পরীক্ষ গ্রহণ,ইনভিজিলেটর ও সংশ্লিষ্টদের সম্মানি প্রদানসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করার কথা কিন্তু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় তাদের সেসব টাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণের কাছে রয়ে গেছে। শিক্ষা বোর্ড এখন সেসব অর্থ পরীক্ষার্থীদের (ছাত্র-ছাত্রীদের) ফেরত দিতে বলেছে।
উপজেলার সরকারি হাজী জামাল উডিদ্দন ডিগ্রি কলেজ ছাড়া অন্যান্য স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা ও বিএম কলেজগুলো এখন পর্যন্ত নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের ওই টাকা ফেরত দেয়নি বলে জানাগেছে। উপজেলার ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে অটোপাসের শিক্ষার্থীরা অনন্ত পঁচিশ লাখ টাকা ফেরত পারে বলেও জানাগেছে।
কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা টাকা ফেরতের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে গেলেও তারা টাকা ফেরত প্রদানের উদ্যোগ না নিয়ে চুপ রয়েছেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ নানা প্রকার ভাউচার তৈরি করে মোটা খরচ দেখিয়ে যাতে ¯^ল্প পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়া যায় তার ধান্দা করছেন বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম বলেন,কারিগরি প্রতিষ্ঠানসহ স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার অটো পাসের সকল পরীক্ষার্থীকে তাদের কেন্দ্র ও বোর্ড ফিসের অব্যায়িত অর্থ ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এই অর্থ ফেরত না দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।