সিরাজুল ইসলাম আপন :সারা দেশে এখন চলছে বর্ষার ভরা মৌসুম। খাল,বিল,নদী-নালা পানিতে ভরপুর। অনেক স্থানে মেঠো পথও পানির নিচে। বর্ষা মৌসুমে চলাচলের একমাত্র বাহন ডিঙ্গি নৌকা। সেই চাহিদা মেটাতে ডিঙ্গি নৌকা তৈরী আর বিক্রি করতে ব্যস্ত পাবনার ভাঙ্গুড়ার কাঠ মিস্ত্রিরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাশ্ববর্তী উপজেলার চাটমোহর,মির্জাপুরহাট, কাছিকাটা,চাচকৈড়,বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানের নৌকা ব্যবসায়ীরা পাইকারী দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছে এ সব নৌকা। ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি কারখানায় চলছে নৌকা তৈরীর কাজ।সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত যেন কারিগরদের দম ফেলার সময় নেই।
চাটমোহরের চিনাভাতকুর গ্রামের আজিজ আলীসহ অনেকেই এসেছেন ভাঙ্গুড়ার অষ্টমনিষা বাজারে নৌকা কিনতে। তারা বলেন,বর্ষায় এলাকা ডুবে যাওয়ায় মাছ ধরার জন্য এ সব ডিঙ্গি নৌকা নিচ্ছি। নৌকা কিনতে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান,বর্ষাকালে হাতে তেমন কাজ থাকে না,বর্তমানে চলনবিলে শুধু পানি আর পানি। তাই ডিঙ্গি নৌকা কিনে মাছ ধরে বাড়তি আয় করতেই ভাঙ্গড়ায় ডিঙ্গি নৌকা কিনতে আসছি।অষ্টমনিষার নৌকার মিস্ত্রি নূর-ইসলাম জানান,কাঠের উপর ভিত্তি করে ১৫ শ হতে ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিঙ্গি নৌকা বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নৌকার দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা জানান, কাঠ মিস্ত্রিদের মজুরী আর কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবারে নৌকার দাম একটু বেড়েছে। কাঠ ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা বলেন,কয়েক বছর ধরে নৌকার ব্যবসা ভালো না হলেও এবারের বর্ষায় বিক্রি ভালো হচ্ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে নৌকার কদরও বাড়ছে।