দেশের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ পাবনার অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. হুমায়ূন কবীর মজুমদারের অপসারণ ও বিচার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র হত্যাকারী খন্দকার মোশতাকের ছবি দিয়ে কলেজের ক্যালেন্ডার ও ডায়েরী প্রকাশ করে বিভিন্ন জায়গায় উপহার হিসাবে পাঠিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই তথ্য’র আলোকে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ চত্বরে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ ও একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা জেলা শাখার ব্যানারে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও পাবনা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. স. ম. আব্দুর রহিম পাকন নেতৃত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পদাক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক টিংকু, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা সদর উপজেল শাখার আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী জববার, বাংলাদেশ আওমী সাংস্কৃতিক ফেরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক মো. আবুল কাশেম, সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ জেলা শাখা’র নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ। প্রতিবাদ সভায় বক্তাগণ বলেন, মোশতাকের বাড়ি কুমিল্লায় এবং অধ্যক্ষের বাড়িও কুমিল্লায়। এজন্য কোন বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষার জন্য জাতিকে বিভ্রান্ত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চলছে। বঙ্গবন্ধু’র হত্যাকারী খন্দকার মোশতাকের ছবি দিয়ে ক্যালেন্ডার ও ডায়েরী প্রকাশ করায় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. হুমায়ূন কবীর মজুমদারসহ জড়িতদের ৭ দিনের মধ্যে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও বিচারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও জানান মুক্তিযোদ্ধাগণ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা সদর উপজেলা শাখার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর, জেলার অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধগণ ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম,ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের অন্তর্গত রুপনগর থানা ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সজীব প্রমুখ।