ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরকে রাজশাহীর সপুরা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এরআগে বেলা সাড়ে ৩টা দিকে বিমানবাহিনীর হেলিকাপ্টারে রাজশাহী সেনানিবাসে সাগরের লাশ আনা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহী সেনানিবাস থেকে উপশহরের বাসাতে পৌঁছানোর পর তৌকির ইসলাম সাগরের লাশ এক নজর দেখতে স্বজনসহ শত শত মানুষ ভিড় জমায়। পরে জানাজার নামাজের জন্য রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম মাঠে লাশ নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের লাশ শেষবারের মতো এক নজর দেখতে দুপুর থেকেই তার বাড়ির সামনে এবং স্টেডিয়ামে ভিড় করতে থাকেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ তার স্বজনরা। তৌকিরের লাশ বহনকারী সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার করে তার বাবা, মা এবং স্ত্রীসহ কয়েকজন স্বজনরা সেখানে নামেন। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
জানাজার আগে তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম বলেন, আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি। ডুকরে কেঁদে উঠে তিনি সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। পাশাপাশি মাইলস্টোন স্কুলের এ বিমান দুর্ঘটনায় শিশুসহ আরও যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সবার জন্যই দোয়া চান।
নামাজে জানাজায় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সেনা বাহিনী, বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ কয়েক হাজার মানুষ মাঠে উপস্থিত হয়।
সূত্র: আমার দেশ।