দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিশেষ করে অমিক্রনের প্রাদুর্ভাব হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল টিমের মাধ্যমে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে নন-টাচ পদ্ধতিতে আগত যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা নির্ণয় করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মোতাবেক এ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক রাগিব সামাদ ‘আমার দেশ’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,’স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক দেওয়া নির্দেশনা আমরা যথাযথভাবে মেনে চলছি।’
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাপমাত্রা নির্ণয় করার পর এ জন্য সার্বক্ষণিক ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও বিমানবন্দরের টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত মাস্ক ও গ্লাভস মজুতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ আরও জানায়,চেষ্টা করা হচ্ছে যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা নির্ণয় করার। পাশাপাশি কর্মীরাও মাস্ক ব্যবহার শুরু করেছেন। সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনার সবটুকু বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াতে দেশের সকল বন্দরে গত ৪ জুন স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা মোতাবেক শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সকল স্থল, নৌ, বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কগুলোতে নজরদারি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করার বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ অবস্থায় গত বুধবার (১১ জুন) সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ১১ দফা নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সেগুলো হলো:
জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন এবং উপস্থিত হতেই হলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো হতে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। হাঁচি/কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনা যুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন। ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়:
জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রোগীর সেবাদানকারীরাও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
সূত্র: আমার দেশ।