অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যেসব উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া সরকারের জন্য ভালো হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বলেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। রোববার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
নুরুল হক বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছি, যেসব উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, বিশেষ করে আমাদের আন্দোলনকারী ছাত্রনেতার মধ্যে যাঁরা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাঁরা যেহেতু একটি দল করেছেন এবং বাইরে এ কথাটি প্রচলিত আছে, এ দলটি সরকারের সুবিধা পাচ্ছে এবং সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করছে। সেই কারণে আমরা বলেছি যে এই দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনসিপির দুজন উপদেষ্টা, তাঁদেরকে অপসারণ করা বা তাঁদেরকে বুঝিয়ে পদত্যাগের দিকে আপনার নিয়ে যাওয়া এটা সরকারের জন্য একটা ভালো দিক হবে।’
নুরুল হক বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আরও একজন উপদেষ্টা (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) নিয়ে তারা দ্বিমত পোষণ করেছে। সংগত কারণেই এ রকম বিষয়গুলোকে সরকার যেন ইতিবাচকভাবে আমলে নেয় এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে এবং উত্তরের প্রশাসকের হিযবুত তাহ্রীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে—এ বিষয়গুলোতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন তাঁরা।
সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, সরকার যেন সামরিক বাহিনীসহ পুরো প্রশাসনকে আস্থায় নিয়ে কাজ করে, তাদের সঙ্গে যেন সরকারের একটা ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং (বোঝাপড়া) থাকে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা সে বিষয়টায় গুরুত্ব দিয়েছেন যে যোগাযোগটা আগের চেয়ে আরও যেন ঘন ঘন হয়।
‘আমরা বলেছি, প্রধান উপদেষ্টা যেন একটা সুনির্দিষ্ট মাসের কথা বলেন যে এই মাসে সম্ভাব্য নির্বাচনটা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকার অভ্যন্তরীণভাবে কিংবা বাহ্যিকভাবে যে চাপগুলো কিংবা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র তারা অনুভব করছে বা করবে, সে ক্ষেত্রে আমরা তাদের পরিপূর্ণ সহযোগিতা করব,’ বলেছেন নুরুল হক।
সুত্রঃ প্রথম আলো
(এনএইচ)