বিশেষ প্রতিনিধি: পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার স্বাধীনতা দিবসে তার বক্তব্যের সময় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় আওয়ামীলীগপন্থী কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা এর বিরোধিতাসহ কটুক্তি ও হট্টগোল করেন। এমনকি তাকে বক্তব্য প্রদানে বাধা প্রদান করেন। এর প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার ( ২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই মিছিলে অংশ গ্রহন করে।
পরে শরৎনগর বাজার ধান হাটা চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সরদার জাফর ইকবাল হিরোকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর মোজাহিদ স্বপন ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ,কৃষক দলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম প্রমুখ ।
বক্তারা বলেন, ২৬ মার্চ পাবনা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের এক অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার শহীদ জিয়াকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলায় ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন ফ্যাসিবাদের দোসর আওয়ামীপন্থী কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা। এরা শহীদ জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করতেও দ্বিধাবোধ করেননি। তারা শহীদ জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক মানেন না বলেও জানান। অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বজ্রকন্ঠে তাদের এহেন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং দৃঢ়তার সাথে বলেন জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি আরো বলেন,জিয়া ছাড়া কারো কন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষনা কেউ শুনেছেন- এমন স্বাক্ষী বাংলাদেশে কখনো ছিলনা। বরং শেখ মুজিব হানাদার বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে পালিয়ে যান পাকিস্তানে। আজও কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রের রেকর্ড করা জিয়ার সেই ভাষন রয়েছে,বাজিয়ে দেখতে পারেন।
বক্তারা আরো বলেন,এরা আসলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে তালিকাভুক্ত হন এবং অবৈধভাবে সরকারি কোষাগার থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা নেন। এদেরকে চিহিৃত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান হয়। তারা বলেন, সারা দেশের মতো ভাঙ্গুড়াতেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। এরা সবাই পতিত সরকারের দোসর। শিগগিরই এদেরকে চিহিৃত করে বিচার করতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বুরুজ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল ইসলাম বরাত, আলতাফ হোসেন খান ,আবু হেনা মোস্তফা কামাল রেজা,উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম,যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান শাহীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এস এম হুমায়ূন কবির,উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম,উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব লিখন সরকার প্রমুখ।
এদিকে ঘটনার পর এ সংক্রান্ত ভিডিও সারাদেশে ভাইরাল হয়ে পড়ে। খ্যাতিমান বিশ্লেষক মোস্তফা ফিরোজ এ নিয়ে মাসুদ খন্দকারের স্বপক্ষে আরেকটি ভিডিও করেন। ফলে আলোচনাটি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার গভীর রাতে দেশ নায়ক তারেক রহমান মাসুদ খন্দকারকে ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ শুনে তার সাহসী বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানান। এর আগে জেলা বিএনপির সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ মাসুদ খন্দকারের বাসায় গিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানান ও তার বক্তব্য প্রদানে বাধা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের দাবি জানান।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার পাবনা জেলা বিএনপি শহরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করে এবং দোষীদের আইনের আওতায় এতে তাদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বেলা দু’টার সময় বিক্ষোভ কর্মসূচীর ঘোষনা দিয়েছে।