একটি জাতীয় দৈনিকে ‘এ টি এম আজহারুলের মামলায় তাজুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন’ শিরোনামে যে মন্তব্য প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটা অপপ্রচেষ্টার অংশ।
এ মন্তব্য প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়। আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘এটিএম আজহারুলের মামলায় তাজুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন’ শিরোনামে যে মন্তব্য প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয় এই মন্তব্য প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে’।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই মন্তব্য প্রতিবেদনের ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, এ টি এম আজহারুল ইসলামের পক্ষে মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ২০১০ সালে এবং তার পরবর্তী সময়ে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ২০২৪ সালে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পরে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করছেন না। তিনি যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে আগে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সে কারণে এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলায় তিনি চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে সুপ্রিমকোর্টের ফুল বেঞ্চকে এ কথাটি অবহিত করেছেন। চিফ প্রসিকিউটর কখনোই এই মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেননি এবং কোন ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ এর জন্ম দেননি। সে কারণেই তিনি পেশাগত আচরণ ও শিষ্টাচারবিধি লঙ্ঘনও করেননি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘ওই মন্তব্য প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটা অপপ্রচেষ্টার অংশ।’ আওয়ামীলীগ ও পতিত স্বৈরাচারের পক্ষ থেকে একটি মহল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সংঘবদ্ধ অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন উল্লেখ করে বলা হয়, ওই মন্তব্য ও প্রতিবেদন চলমান বিচার প্রক্রিয়ার বিরদ্ধে অপতৎপরতার অংশ। অনতিবিলম্বে ওই প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে প্রতিবেদককে দুঃখ প্রকাশে আহ্বান জানানো হয়।
সূত্র: বাসস